বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

যুবলীগ নেতা হত্যা চেষ্টার বিচার দাবীতে আমতলীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

যুবলীগ নেতা হত্যা চেষ্টার বিচার দাবীতে আমতলীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে হত্যা চেষ্টার কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়ার ঘটনার বিচার দাবীতে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আমতলী শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ খুনি জিএম মুছাসহ আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে আমতলী উপজেলা অচল করে দেয়ার ঘোষনা দেন আন্দোলনকারীরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা ও তার সহযোগীরা । এ টাকা দিকে অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা আজাদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জিএম মুছা ও তার সহযোগীরা যুবলীগ নেতা আজাদকে গত ২১ মে রাতে কৌশলে ডেকে নিয়ে খুড়িয়ার খেয়াঘাট ও নোমরহাট সড়কের চলাভাঙ্গা নামক স্থানে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে তার দুই হাতের বাহু, তালু, কব্জি, দু পায়ের হাটু, গোড়ালীসহ রগ কেটে দেয় এমন দাবী মেয়র মতিয়ার রহমানের। পরে তারা তাকে মৃত্যু ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে এবং তার সাথে থাকা দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার আজাদ বাদী হয়ে আমতলী থানায় জিএম মুছাকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে চাঁদা দাবী ও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর যখমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আজাদকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় বিচার দাবীতে রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। কয়েক হাজার নেতা কর্মী আমতলী পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আমতলী চৌরাস্তায় সমাবেশ করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ¦ মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশিদ, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা, কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, মীর হাবিবুর রহমান, সামসুল হক চৌকিদার, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আলম মামুন সবুজ,উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন, যুবলীগ নেতা মাহবুব প্যাদা ও ব্যবসায়ী মোঃ কামাল আকন প্রমুখ। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ খুনি জিএম মুছাসহ আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে আমতলী উপজেলা অচল করে দেয়ার ঘোষনা দেন।
বক্তারা বলেন, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে সন্ত্রাসী জিএম মুছা ও তার সহযোগীরা নির্মম নির্যাতন করেছে। সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের কাহিনী আইয়্যামে জাহিলিয়াতের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। আমরা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, যুবলীগ কর্মী আমার ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদের কাছে সন্ত্রাসী ও খুনি জিএম মুছাসহ আসামীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার ভাগ্নেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আমার ভাগ্নে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গত ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এতটাই নির্মমতা বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরে আসবে কিনা সন্দেহ আছে। তিনি আরো বলেন, জিএম মুছা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। মুছা দক্ষিণাঞ্চলের মাদক সিন্ডিকেটের মুল হোতা। আমি এ বর্বরতায় শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আসামী গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech