আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলীর যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে হত্যা চেষ্টার ঘটনার আমতলী পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসানসহ ১৫ যুবলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ দেওয়ান ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহিদ দেওয়ান বলেন, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে গত ২১ মে রাতে দুর্বৃত্ত্বরা খুড়িয়ার খেয়াঘাট ও নোমরহাট সড়কের চলাভাঙ্গা নামক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনার ২১ দিন পরে গত শনিবার আহত আজাদ বাদী হয়ে আমতলী পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসানসহ ১৫ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরে বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে যখমের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলা যাদের আসামী করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের সাথে জড়িত। রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার একদিন পর ২২ মে আহত আবুল কালাম আজাদ একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও বার্তায় আজাদ বলেন ৭/৮ জনে আমাকে কুপিয়েছে। পরে জাহিদুল ইসলাম খোকন মৃধা আমাকে লাথি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দৃর্বৃত্ত্বদের বলতে বলেন তোরা রিয়াজ ও মুছাকে ফোন দিয়ে বল আমরা সাকসেস। ওই ভিডিও বার্তায় আজাদ যাদের নাম বলেছে তাদের না জড়িয়ে অহেতুক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়। এটা সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মিথ্যা। এ মিথ্যা মামলা থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহার করে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। তিনি আরো বলেন পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বিএনপি জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ওই রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। তিনি আওয়ামীলীগ নাম ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শাহজাহান কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বশির উদ্দিন তালুকদার, মোঃ আলমগীর কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোঃ আনোয়ার হোসেন ফকির, উপজেলা আওয়ামীলীগ শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন বিশ^াস, বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফ-উল হাসান আরিফ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ জুয়েল গাজী, পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি সজীব প্যাদা প্রমুখ।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, জিএম মুছা ছাত্র জীবন থেকেই খুন খারাপীসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। আমার ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী তাই তাকে মুছা কৌশলে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জিএম মুছা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। গত ১০ বছরে তারা দুই ভাই কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। আমি এ বর্বরতায় শাস্তি দাবী করছি।