আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকারী ঠিকাদারকে টাকা পরিশোধ না করায় আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাঈম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ ফয়সাল হোসেন নয়ন সোমবার এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য ‘ক’ শ্রেণীর ১১০টি এবং ‘খ’ শ্রেণির জন্য ৫০ টিসহ মোট ১৬০টি ঘর বরাদ্ধ দেয় সরকার। ওই ঘর নির্মাণের জন্য তৎকালিন তালতলীর ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আমতলীতে কর্মরত) ভোলার নাঈম এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ ফয়সাল হোসেন নয়নের সাথে চুক্তি করে। ইউএনও ঠিকাদারকে তালতলীর ‘ক’ শ্রেণির ৮৩টি এবং “খ” শ্রেনীর ৪৯ টি এবং আমতলীর “ক” শ্রেনীর ৯ টি ঘরের কাজ দেন। চুক্তিমত ঠিকাদায় নয়ন ঘরের কাজ সম্পন্ন করেন বলে দাবী করেন। তালতলীর দুই শ্রেনীর ১৩২ টি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ কোটি ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা এবং আমতলীর ৯টি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। দুই উপজেলার ১৪১ টি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ কোটি ২১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। ওই সমুদয় নির্মাণ ব্যয়ের বিপরীতে ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে ঠিকাদার মোঃ ফয়সাল হোসেন নয়নকে ২ কোটি ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। অবশিষ্ট ১৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি। ঠিকাদার নয়ন গত তিন মাস ধরে এ টাকার জন্য ইউএনওকে তাগাদা দিলেও তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়ন ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোমবার বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবওে লিখিত অভিযোগ দেন।
ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়ন বলেন, ইউএনও আসাদুজ্জামানের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ বাবদ পাওনা ১৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেনি। বর্তমানে তিনি টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকার করছেন। তিনি আরো বলেন, ইউএনও ওই ১৪১ ঘরের মধ্যে ঘর প্রতি ১০ হাজার টাকা করে ১১৯ ঘর বাবদ আমার কাছ থেকে মোট ১১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার মোঃ ফয়সাল হোসেন নয়নকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমতলীর ইউএনওকে ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়নের সাথে ঝামেলা মিটানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছি।