আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
মোবাইল ফোন না দেয়ায় এক সন্তানের জননী গৃহবধু লিপি আক্তারকে স্বামী রুবেল ফকির মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত লিপি আক্তারকে স্বজনরা উদ্ধার করে শুক্রবার দুপুরে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে শুক্রবার সকালে।
জানাগেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার মধ্য আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাদশা হাওলাদারের কন্যা লিপি আক্তারকে একই ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের নাশির ফকিরের ছেলে রুবেলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বনালংকারসহ প্রয়োজনীয় আবসাবপত্র দেন জামাতা রুবেলকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী লিপিকে স্বামী রুবেল মারধর করে আসছে। শুক্রবার স্বামী রুবেল স্ত্রী লিপি আক্তারের কাছে তার মোবাইল ফোন চায়। এ ফোন দিতে রাজী না হওয়ায় স্ত্রী লিপিকে বেধরক মারধর করে। তার মারধরে লিপি আক্তারের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা ওইদিন দুপুরে লিপিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত গৃহবধু লিপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী তার মোবাইল ফোন বিক্রি করে আমার মোবাইল ফোন নিতে চায়। আমি মোবাইল ফোন না দেয়াতে আমাকে বেধরক মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, বিয়ের ৫ বছরে তুচ্ছ ঘটনায় অন্তত অর্ধ শত বার মারধর করেছে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সহ্য করে আসছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নানী হাসিনা বেগম বলেন, নাতনির সুখের জন্য ওর সংসারে যখম যা প্রয়োজন তখন তা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও আমার নাতনিকে মারধর করে।
স্বামী রুবেল ফকির স্ত্রী লিপিকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মোবাইল হারিয়ে গেছে তাই ওর মোবাইল চেয়েছিলাম। মোবাইল না দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, লিপির মুখমমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।