আমতলী প্রতিনিধি:
জমিতে চাষাবাদে বাঁধা দেওয়ায় নাজমা বেগম নামের এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নাজমাকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের হোসেন মৃধা ও তার চাচাতো ভাই নাশির মৃধার মধ্যে দের একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হোসেন মৃধা তার লোকজন নিয়ে চাষাবাদ করতে যায়। জমি চাষাবাদ করতে নাশির মৃধার স্ত্রী নাজমা বেগম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হোসেন মৃধা, তার পুত্র রুবেল, শাহীন ও জাকারিয়াসহ ৭-৮ জন মিলে নাজমা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত নাজমাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
আহত নাজমা বেগমের স্বামী মোঃ নাশির মৃধা বলেন, আমার দের একর জমি আমার চাচাতো ভাই হোসেন মৃধা জোরপুর্বক ভোগদখল করে আসছে। এতে আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে হোসেন মৃধা ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত হোসেন মৃধার ছেলে রুবেল মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনের লাইন কেটে দেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত নাজমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী প্রেরন করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন,অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।