কেউ ঘোড়ায় চড়ছে, কেউ সাগরের ঢেউয়ের সাথে গোসল করে উল্লাসে মেতেছেন। কেউ কেউ সৈকতে প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। কেউবা আবার হাতে থাকা স্মার্টফোনে প্রাকৃতিক দৃশ্য ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এর ফলে হোটেল-মোটেল রিসোর্টসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
১৯ আগস্ট পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন স্পটগুলো খুলে দেয়ার পর সৈকতে ভিড় করেছেন হাজারো পর্যটক। আগত এ সকল পর্যটকদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশসহ মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা। প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় পর্যটন স্পট। কিন্তু ঊর্ধ্বগামী পর্যটন শিল্পের বিকাশে থাবা বসিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। এতে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত উঠে। সেই সাথে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে। কুয়াকাটার হোটেল মোটেল রিসোর্টসহ সকল বিনোদনকেন্দ্র উন্মুক্ত করায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
পর্যটক রিয়াজ মোল্লা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিলাম। তাই বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় আসলাম। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সৈকতে নেমেছি। এসে দেখলাম অনেক পর্যটকই এখানে এসেছে। হোটেল সমুদ্র বাড়ির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হোটেল মোটেল খোলা হয়েছে। তার হোটেলে ১৭ টি রুম রয়েছে। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি আব্দুল খালেক বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার বার মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।