আমতলী প্রতিনিধি:
ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসের হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির ফরাজীকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘুষের টাকা নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাস হয়। এতে নরেচরে বসে প্রধান প্রকৌশলী। রবিবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করেছেন।
জানাগেছে, মোঃ হুমায়ুন কবির ফরাজী ২০১০ সালে আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসের হিসাব রক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি অফিস ঘুষ ও দুর্নীতির আখরায় পরিনত করেছেন। তাকে টাকা না দিলে ওই দপ্তরের কোন ফাইল চলে না। ফাইল থাকে লাল ফিতায় বন্দি এমন অফিযোগ ঠিকাদারদের। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে তিনি হাতিয়ে নিতেন কাজের বরাদ্দকৃত টাকার ১০%। এ নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার এমন ঘুষ কেলেংকারী নিয়ে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে অফিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসেনি। উল্টো বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যান তার এমন কর্মকান্ড। ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন বরাদ্দকৃত টাকার ১০% টাকা আদায় করে হিসাব রক্ষক হুমায়ুন কবির প্রকৌশলী, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতেন। শনিবার উপজেলা প্রকৌশল অফিসের হিসার রক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবিরের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খানের নজরে আসে। ওইদিনই উপজেলা হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির ফরাজীকে সাময়ীক বরখাস্ত করে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সরকারী কর্মচারী কার্যবিধি ২০১৮ এর ৪(৩) ( ঘ) বিধি অনুসারে কেন তাকে বরখাস্ত করা হবে না তার কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসের চুনো পুটির শাস্তি হলো কিন্তু রাঘব বোয়ালতো ঠিকই বহাল তবিয়াতে রয়েছেন। তারা আরো বলেন, যারা কাজের ভাগ নেন তাদেরও বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির ফরাজী রবিবার আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসে আসেন নি। তার কক্ষ তালা বন্ধ রয়েছে।
বরখাস্তকৃত হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির ফরাজীর মুঠোফোনে (০১৭১১৯৩৯৯৮১) যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধান প্রকৌশলীর একটি পত্র পেয়েছি। ওই পত্রালোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।