আমতলী প্রতিনিধি:
কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী বশির উদ্দিনের মৃত্যুর ১৯ দিন পরে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী মারিয়া আক্তার (২৯) প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্বামী-স্ত্রীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওই দম্পত্তির রেখে যাওয়া একমাত্র শিশু পুত্র মারজান অসহায় হয়ে পরেছে। স্বামীর পাশেই চির নিন্দ্রায় স্ত্রী মারিয়া। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ বশির উদ্দিন হাওলাদার গত ৫ বছর ধরে কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন। স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী মারিয়া আক্তার পাঁচ বছর প্রাণপণ চেষ্টা করে হেরে যান। গত ১৬ আগষ্ট স্বামী বশির উদ্দিন মারা যান। স্বামীর মুত্যুর পরই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন স্ত্রী মারিয়া। ১৯ দিন সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী মারিয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যান। ১৯ দিনের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এক মাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মা। মারিয়ার মা মাহিনুর মেয়ের সেবা করতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরেছেন। ওই দম্পত্তির রেখে যাওয়া সাত বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান মারজান অসহায় হয়ে পরেছে। শনিবার বাড়ীতে মারিয়ার মরদেহ নিয়ে আসা হলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। ওইদিন দুপুরে জানাযা শেষে মরহুমার মরদেহ গ্রামের বাড়ী চাওড়া চালিতাবুনিয়া পারিবারিক কবরস্থানে স্বামী বশির উদ্দিনের পাশেই দাফন করা হয়।
মারিয়ার নানা আবদুস ছালাম মাষ্টার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, এমন মর্মান্তিক মৃত্যু যেন আল্লাহ কাউকে না দেয়। স্বামীর মৃত্যুর ১৯ দিন পরে স্ত্রী মারিয়া সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় মারা গেছেন। মারিয়ার সাত বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান মারজানকে দেখাশুনা করা কেউ রইলো না।