কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ১৫ সেপ্টেম্বর ।।
বিয়ের সাত মাস যেতেই যৌতুকের বলি হলো গৃহবধূ কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় রশি পেচিয়ে ঘরের দোতলায় রুয়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মোষ কেনা-বেচার ব্যবসার জন্য গহনা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা না দেয়ায় এ নির্মম ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এমনকি এ বিষয়টি যেন চেপে যাওয়া হয় এ জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয় সুমাইয়ার স্বামীর পরিবারের লোকজন। এসব অভিযোগ এনে অতি সম্প্রতি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সুমাইয়ার মা খাদিজা বেগম। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেছেন। বিজ্ঞ আদালত থানায় করা জিডির কাগজপত্র তলব করেছে। এমনকি থানায় হত্যার অভিযোগ না নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় সুমাইয়ার স্বামী মাসুদ চৌকিদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শ^শুর, ননদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, কলেজ ছাত্রী থাকাকালে সাত মাস আগে লালুয়ার সুমাইয়ার সঙ্গে ধুলাসারের নয়াকাটা গ্রামের মাসুদ চৌকিদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল দুই ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার দেয় সুমাইয়ার পরিবার। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই মাসুদ তাঁকে দেয়া স্বর্ণের চেইন বন্ধক রাখে। এরপরে মোষ কেনাবেচার ব্যবসার জন্য সুমাইয়ার স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়। এনিয়ে প্রায় দিন সুমাইয়াকে গালিগালাজ করা হতো। এমনকি নিত্যদিনের বাজার পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় বলে সুমাইয়ার মা মামলায় উল্লেখ করেছে। গত ২৭ আগষ্ট বেলা ১১ টার দিকে মহিপুর থানা পুলিশ ধুলাসার ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের সুমাইয়ার স্বামীর ঘরের দোতলা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সুমাইয়ার মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘যেভাবে রশি গলায় বেধে আড়া ও রুয়ার সঙ্গে বেধে রাখা পাওয়া গেছে, তা কোন মেয়ে তো দুরের কথা কোন পুরুষ লোকের একার পক্ষে ওই ভাবে বাঁধা কোনভাবেই সম্ভব নয়।