চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে হাত পা কেটে ক্ষত-বিক্ষত করার মামলায় আমতলী যুবলীগ সভাপতি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ১২ জনের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার আমতলীর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হাসান এই আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-জিএম মুছা ওরফে আবু মুছা, মোয়াজ্জেম হোসেন, জিএম ওসমানী হাসান, আল ফাহাদ, মতিন, তানজিল, রিয়াজ, রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, মিরাজ মিয়া, কবির ও সবুজ। তারা সকলই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা।
জিএম মুছা আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর, জিএম হাসান আমতলী উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও মোয়াজ্জেম হোসেন আমতলী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এ মামলায় মালেক ও মো. হাচান পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, আমতলী পৌরসভার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী থানায় জিএম মুছাসহ ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করে। বাদী একজন ঠিকাদার। দায়ের করা মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ২১ মে রাত ৮টার সময় আবুল কালাম আমতলীর খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে নোমরহাট পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আসামিরা বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সকল আসামিরা রামদা দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা, দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। হাত পায়ের রগ কেটে ফেলে।
বাদীর মামা আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ভাগিনাকে সকল আসামিরা ২১ মে রাতে চাঁদার দাবিতে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। আমার ভাগিনা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আসামিরা আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে গিয়ে জামিন নিয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছি। সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আমতলী আদালতে এক সপ্তাহের মধ্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
বরগুনার কোর্ট বারান্দায় আসামি জিএম মু্ছা বলেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমতলীর পৌর মেয়র রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বাদীর ঘটনার দিন আমি আমতলী মাতৃছায়া কাপড়ের দোকানে ছিলাম। সিসি ক্যামেরায় তার প্রমাণ। এই ঘটনায় আমরা জড়িত না থাকলেও আমাদের জড়িত করা হয়েছে।