আমতলী প্রতিনিধি:
৬৫ পিস ইয়াবাসহ রাকিবুল মীর এবং দুই’শ গ্রাম গাঁজাসহ খবির ও জুলহাস হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পুর্ব চিলা গ্রাম থেকে রাকিবুল এবং সেকান্দারখালী গ্রাম থেকে খবির ও জুলহাসকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আসামীদেরকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক নারী সদস্য শাহনাজ বেগমের ছেলে মোঃ মাসুম মৃধা গত ৫ বছর ধরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে। তিনি ওই ইয়াবা ২০ জন খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে এলাকার সর্বত্র বিক্রি করে আসছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানার এসআই মোঃ দাদন মিয়া পুর্ব চিলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রিরত অবস্থায় রাকিবুল মীরকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার শরীর তল্লাশী করে ৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অপর দিকে এসআই শুভ বাড়ৈ সেকান্দারখালী গ্রাম থেকে গাজা বিক্রিরত অবস্থায় খবির ও জুলহাস নামের দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। ওই দুই মাদক বিক্রেতার শরীর তল্লাশী করে দুই’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় ওইদিন রাতে রাকিবুল ও ইয়াবা বিক্রির মুল হোতা মাসুম মৃধা এবং খবির ও জুলহাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ বুধবার মাদক বিক্রেতা তিনজনকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মোসাঃ শাহনাজের ছেলে মাসুম মৃধা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইয়াবা এনে এলাকায় বিক্রি করছে। মাসুমের ইউনিয়নে অন্তত ২০-২৫ জন খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা রয়েছে। তারা এলাকায় খুচরা ইয়াবা বিক্রি করছে। কিন্তু ইয়াবা বিক্রির মুল হোতা মাসুম মৃধা ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। হলদিয়া ইউনিয়ন থেকে ইয়াবা মুক্ত করতে মাসুমকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ৬৫ পিস ইয়াবাসহ রাকিবুল মীর ও গাজাসহ খবির ও জুলহাস নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাকিবুলের কথিত মতে ইয়াবা বিক্রির মুল হোতা মাসুম মৃধাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।