আমতলী প্রতিনিধি।
দুই পরিবহন গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে মা আয়শা বেগম এবং ছেলে আয়ান নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে।
জানাগেছে, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী সেবা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭২২৯) ও কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৮৩৫) পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গাড়ী দুটি দুমড়ে মুরচে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে সেবা পরিবহনের যাত্রী মোসাঃ আয়শা বেগম (৩২) ও তার ছেলে আয়ান (১) মারা যায় এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ইমরান, খাদিজা, মরিয়ম, চন্দন মল্লিক, রেরেকা সুলতানা, লতিফা, শাহীন ও রাজিবকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আয়শা বেগম ও ছেলে আয়ানের বাড়ী চট্রগ্রাম জেলার কাঠগড় ধুমপাড়া এলাকায়।
নিহত আয়শার মেয়ে আহত মরিয়ম বলেন, বাবা-মা ও তিন ভাই বোনে মিলে গ্রামের বাড়ী চট্রগ্রাম থেকে মহিপুর এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও আমার ভাই মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল হাওলাদারসহ কয়েকজন বলেন, দ্রুত গতির দুই গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়ী দুটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে অনেক হতাহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কেএম তানজিরুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সেবা পরিবহনের যাত্রী মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।