আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব নওমালা গ্রামে নৌকা ও ঘোড়া প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৭ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থক নজরুল ইসলাম (৪৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), রিয়াজ মৃধা (২০), মনির হোসেন ২৭), ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক শাহিন ইসলাম (২০), ইমরান হোসেন (২৫), হেলাল উদ্দিন (২০)।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, নওমালার ঘটনায় মোট ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামাল হাসেন বিশ্বাসের কর্মী নজিরের সঙ্গে ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থক শাহিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ঘোড়ার কর্মীরা নৌকার কর্মী নাজিরকে আটকে মাধরধর করে। এ ঘটনা নৌকার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে জানাজনি হলে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘোড়ার সমর্থক শাহিনকে কুপিয়ে জখম করে। শাহিনকে জখম করার ঘটনা ঘোড়ার সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে ঘোড়ার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ঘোড়া মার্কার কয়েক কর্মী সমর্থক নওমালার ৪নং ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার কর্মী সোহরাব সিকদার ও নুরু সিকদারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। একই রাতে ৪নং ওয়ার্ডের নৌকা সমর্থকরা ঘোড়া মার্কার সমর্থক আফজাল মজুমদারের ঘরে হামলা করে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, নওমালায় ঘটনাস্থলে আছি। শুনেছি আহত আছে, তবে কত জন তা বলতে পারছিনা। পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং সহঅবস্থানে আছে।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে বাউফল উপজেলার নওমালা ও সূর্যমনি ইউনিয়নসহ জেলায় মোট ১৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।