শনিবার বিকেলে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
তিনি জানান, রবিবার থেকে আর কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না। সেটি টেকনাফ বা কক্সবাজার থেকে হোক। আবহাওয়া পরিস্থিতি যত দিন ভালো না হচ্ছে তত দিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ তার দিক সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন না ঘটালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
বজলুর রশিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে ৮০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। এরপর কিছুটা দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে যেতে পারে। তারপর আরও কিছুটা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল আছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোনসংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থার (ইএসসিএপি) তালিকা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘জাওয়াদ’। নামটি প্রস্তাব করেছিল সৌদি আরব। এর অর্থ দয়ালু।