বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বেলারুশ সীমান্তে বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

বেলারুশ সীমান্তে বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:

যুদ্ধ বন্ধে বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল।
ইউক্রেন যুদ্ধের ৫ম দিনে শান্তি আলোচনার লক্ষ্যে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে পৌঁছান। এরপর বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় শুরু হয় শান্তি আলোচনা। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, আলোচনায় প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার।

আলোচনায় ইউক্রেনের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সেই রেজনিকেভ, রাজনৈতিক নেতা ডেভিড আরাখামিয়া ও সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাই টোচিটস্কি। অন্যদিকে, রুশ পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুতিনের বিশেষ সহকারী ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। রুশ গণমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, আলোচনা দলে আরও আছেন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

আলোচনার আগেই এক ভিডিও বার্তায়, ইউক্রেনকে দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ দেয়ার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরওআগে অবশ্য ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।

ইউরো নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন জানান, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত করতে চান তারা। বলেন, ইউক্রেন আমাদেরই। সময়মতো ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পেতে চাই আমরা।

এদিকে, ইউক্রেন সংকট সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে রবিবারই সাধারণ পরিষদের বিশেষ বৈঠক আয়োজনে প্রস্তাব পাশ করে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দশকের মধ্যে প্রথম এমন প্রস্তাব পাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মিত্রদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ব্রাসেলসে বৈঠকে বসবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রীরা।

অন্যদিকে, চলমান সংঘাতে ৭০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন ছাড়াই শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে নেতারা।

ইতিমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। অন্যদিকে, ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপে আটকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে মস্কো।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech