আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ আমন সংগ্রহ অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে। বরাদ্দ ৯’শ ৬৫ মেট্রিক টন হলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩ মেট্রিকটন। অ্যাপসের জটিলতায় ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবী করেন এলএসডি মোঃ হুমায়ুন করিব।
জানাগেছে, এ বছর আমন মৌসুমে সরকার আমতলী উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরকে ৯’শ ৬৫ মেট্রিকটন আমন ধান সংগ্রহের বরাদ্দ দেয়। এক হাজার ৮০ টাকা মণ দরে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী এ সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে। কিন্তু উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর শেষ দিন পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে। আমন ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়াকে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন করিব অ্যাপসের জটিলতাকে দায়ী করেছেন। তিনি দাবী করেন কৃষকরা অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির জ্ঞান নেই। তারা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে না পারায় ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ আরো দাবী করেন বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা ধান বিক্রিতে উৎসাহী ছিল না। তাই অভিযান সফল হতে পারেনি। এদিকে কৃষকরা অভিযোগ করেন অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির নিবন্ধন করতে চাইলেও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ সহযোগীতা করেনি। তারা সহযোগীতা না করায় ধান বিক্রি করতে পারিনি।
কৃষক ফজলুর রহমান হাওলাদার ও হান্নান মোল্লা বলেন, সরকারী খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অ্যাপস জটিলতার কারনে বিক্রি করতে পারিনি।
কৃষক হাসান হাওলাদার ও মতি হাওলাদার বলেন, আমরা কৃষক অ্যাপস বুঝি না, ধান বিক্রি করতে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা অ্যাপসে নিবন্ধন করতে সহযোগীতা করেনি।
আমতলী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সমির কুমার রায় বলেন, অ্যাপসের জটিলতায় কারনে ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। কৃষকদের অ্যাপস সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। নিবন্ধিত কৃষকদের নামের সাথে মোবাইল নম্বরে মিল না থাকায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমন ধান সংগ্রহ অভিযানের শেষ দিন পর্যন্ত অ্যাপসের মাধ্যমে মাত্র ৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করেছি।