প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রসদ ও মনোবল ঘাটতিতে থাকা রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। কিন্তু যুদ্ধ মাত্র দুই সপ্তাহে গড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কর্মকর্তারা মনে করছেন, রুশ বাহিনী প্রাথমিক দিককার ক্ষতি শিগগিরই সামলে নেবে এবং এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি রক্তাক্ত লড়াই শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে গড়ে ওঠা ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পনা করছে পশ্চিমারা।
কর্মকর্তারা সেই পরিকল্পনার বিস্তারিত না জানালেও কিয়েভের সম্ভাব্য পতন বিবেচনায় নিয়েই তাঁরা ইউক্রেনের প্রবাসী সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছেন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এই লড়াই হতে পারে গেরিলা যুদ্ধ।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র পাঠিয়েছে, যা সামনের দিনগুলোতেও বজায় রাখবে। গেরিলা যুদ্ধের সফলতার জন্য এই অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাইডেন প্রশাসন এরই মধ্যে ইউক্রেনে মানবিক ও সামরিক সহায়তার জন্য ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড় দিতে কংগ্রেসকে অনুরোধ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যদি গেরিলা যুদ্ধকে সমর্থন দেয়, তাহলে রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনে নাগরিকদের মনোবল ধরে রাখতে এবং শত্রু রুশ সেনাদের প্রতিহত করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হবেন প্রধান শক্তি।
রুশ বাহিনীর হাতে কিয়েভ পতনের বিষয়টি ধরে নিয়েই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সামরিক দপ্তর পেন্টাগনসহ অন্য সংস্থাগুলো যেসব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, তার মধ্যে জেলেনস্কি সরকারের দেশ ছাড়ার বিষয়টিও রয়েছে। স্পর্শকাতর বিষয় বিবেচনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি ঘটনার জন্য সম্ভাব্য পরিকল্পনা তৈরি করছি। এর মধ্যে পোল্যান্ডে জেলেনস্কির প্রবাসী সরকার গঠনের বিষয়টিও রয়েছে।’