আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০১১ সালে লিবিয়ার পরে এই প্রথম কোনো দেশের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
ইউক্রেনে রুশ সেনারা আক্রমণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টের জন্য রাশিয়াকে কাউন্সিল থেকে স্থগিতের পক্ষে ভোট দেয় সাধারণ পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে রাশিয়াকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি এবং বিপক্ষে ২৪টি। ভোটদানে বিরত থেকেছে ৫৮টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ মার্কিন প্রবর্তিত প্রস্তাবে ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার ও মানবিক সংকটের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইউক্রেনের বুচা শহরে নিরীহ নাগরিকদের মেরে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো৷ যুদ্ধপরাধের জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিচার চেয়েও ডাক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের দূত সের্গি কিসলিতসিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভয়াবহ নিপীড়নের অভিযোগ আনেন। একই সঙ্গে তিনি বুচা শহরে বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগও তোলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের দ্বারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সের্গি কিসলিতসিয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৯৩টি দেশ, ২৪টি ভোট দিয়েছে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮ দেশ।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত গেন্নাডি কুজমিন এ ভোট আয়োজনের নিন্দা করেন। চীন, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশসহ ২৪টি দেশ ছিল রাশিয়ার পক্ষে। আর ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, ভারত, মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৫৮টি দেশ।
বরখাস্তের পক্ষে ভোট দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশ, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতিসংঘের সংস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের কোনো স্থান নেই। যারা রাশিয়াকে বরখাস্ত সমর্থন করেছেন এবং ইতিহাসের সঠিক পক্ষের পাশে অবস্থান নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।