বিনোদন প্রতিবেদক:
গত দু’দিন ধরে সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত খবর, একাধিক নারীসঙ্গের কারণে নাকি ভাঙতে বসেছে হিরো আলমের দ্বিতীয় বিয়েও। তাঁকে তালাকের নোটিস পাঠিয়েছেন নুসরাত জাহান।
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে হিরো আলমের সংসারে নাকি এবার ভাঙ্গন। আর তার কারণ একাধিক নারী সঙ্গ।
বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। তিনিই নাকি মিথ্যে বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন রটিয়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড় দুই বাংলা। অনুরাগীরা যখন বিস্মিত, বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা হিরো আলমের দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার খবরে, তখনই এ কথা জানালেন স্বয়ং বাংলাদেশের অভিনেতা। এই সব রটনা হিরো আলমের কানেও পৌঁছেছে। এর পরেই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন তিনি। নিজের দেশের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন ওই সাংবাদিক। পাল্টা প্রশ্নও ছুড়েছেন, ‘‘আমার দ্বিতীয় স্ত্রী নুসরাত কি সরাসরি কোনও সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আমি একাধিক নারীতে আসক্ত?’’
গত দু’দিন ধরে এ পার এবং ও পার বাংলার সংবাদমাধ্যমে খবর, একাধিক নারীসঙ্গের কারণে নাকি ভাঙতে বসেছে হিরো আলমের দ্বিতীয় বিয়েও। বিয়ের তিন বছরের মাথায় তাঁকে তালাকের নোটিস পাঠিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী নুসরাত জাহান। যদিও আলম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও নোটিস পাননি। এ দিকে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমকে নাকি নুসরাত বলেছেন, “গত ৮ মাস ধরে মা-বাবার কাছে আছি। আলমের সঙ্গে একেবারে যোগাযোগ নেই, তা নয়। কাজের কারণে কথা হচ্ছে।’’
তাঁর অভিযোগ, হিরো আলম তাকে নাকি ভয় দেখাতেন। তাদের ভাড়া বাড়িতে এখনও নুসরাতের ৯ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। বিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর ব্যাপারে নুসরতের দাবি, তিনি সংসার টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হিরো আলম পর নারীর নেশায় আচ্ছন্ন! বিষয়টি তিনি আর মানতে পারছেন না।
এই প্রসঙ্গেই হিরো আলমের বক্তব্য, ‘‘সংসার করতে গেলে সমস্যা হয়। আমাদেরও হয়েছে। প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিয়ে বাঁচাতে। যখন সম্ভব হয়নি, তখন বিচ্ছেদ হয়।
প্রসঙ্গত এপ্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে হিরো আলম জানান, তিনি এখনো কোনো তলাকের কাগজ পায়নি। এখনো পর্যন্ত সবটাই তার লোক মুখে শোনা। এছাড়াও আলম জানান, “যদি সত্যি তালাক দিয়ে থাকে আমার কিছু তো করার নেই। কাগজ হাতে পেলে বাকিটা বলতে পারব”।