আমতলী প্রতিনিধি ।
কাইয়ুম তালুকদার ও সাইদুর রহমান খাঁন পরিবারের সদস্যদের নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে দুই লক্ষাধীক টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে চোর চক্র। এতে দুই পরিবারের সাতজন অসুস্থ্য হয়ে পরেছে। তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে। বুধবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কাইয়ুম তালুকদার ও সাইদুর রহমান খাঁন পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার সকালে ওই দুই পরিবারের ঘরের দরজা খোলা থাকলেও লোকজনের সারা শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা ওই দুই পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। অজ্ঞান ব্যাক্তিরা হলেন মেহেরুন্নেছা হিরু (৬৫), জাকির হোসেন (৫৫), সাইদ (৪৭), হাফিজা আক্তার মুন্নি (৪০), মনোয়ারা বেগম (৬৬), নাঈম (১৩) ও রিফাত (১২)। স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাওসার হোসাইন তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফিরেনি। চোর চক্র কাইয়ুম তালুকদারের ঘর থেকে এক লক্ষ টাকা ও এক ভরি স্বর্নাংলকার এবং সাইদুর রহমান খাঁনের ঘর থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও সাত ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে চোর চক্র মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতেই ঘরে লুকিয়ে ছিল। পরে তারা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ওই খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কাইয়ুম তালুকদারের বড় ভাই মোঃ মোর্শ্বেদ তালুকদার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে সন্ধ্যা রাতেই চোর চক্র ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। পরে তারা খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ওই খাবার খেয়ে ঘরের সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চোর চক্র নিরাপদে চুরি করে স্বর্নালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। অসুস্থ্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।