আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমতলী উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশে করে। ওই সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের হামলায় পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জালাল আহম্মেদ ফকিরসহ ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার বিবেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একে স্কুল চৌরাস্তায় বিএনপি অফিসের সামনে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা বিএনপি সোমবার বিকেলে দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে একে স্কুল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহাসড়ক অবরোধ তরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায় পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপি নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এক পর্যায় পুলিশ তাদের উপর লাঠি চার্জ করে। পরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। আধা ঘন্টাব্যাপী এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লাঠচার্জ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। একে স্কুল চৌরাস্তার সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহত পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম, এসআই দাদন ভুইয়া, এসআই সোহবার হোসেন, এসআই কামাল উদ্দিন ও পুলিশ কনেষ্টবল কবির হোসেনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিএনপি নেতারা দাবী করেন পুলিশের হামলায় তাদের ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জালাল আহম্মেদ ফকির, কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তুহিন মৃধা, কামরুজ্জামান হিরু, ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী জামান রাকিব, মগবুল আহম্মেদ খান, ইমরান খান, এনামুল হক সোহাগ, রাজিব মৃধা, লালন ও মনির ডাকুয়াকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপি আহবায়ক মোঃ জালাল আহম্মেদ ফকির, সামসুল হক চৌকিদার, কামরুজ্জামান হিরু, জসিম হাওলাদার, হুমায়ুন কবির তালুকদার, মনির,মনিরুজ্জামান, বায়েজিদ মীর,মহসিন খান,সগির হোসেন,শামীম, বায়েজিদ ও মোঃ আবুল কালামকে আটক করেছে। ঘটনার পরপর বিএনপি নেতা কর্মীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বিএনপির সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের সংঘর্ষে অনেক লোক আহত হয়েছে।
সাবেক আমতলী পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তুহিন মৃধা বলেন, আমরা শান্তিপুর্ণভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করতেছিলাম । ওই সমাবেশে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করেছে। এ সময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের লাঠি চার্জে আমাদের অন্তত ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে করতেছিল। এতে পুলিশ বাঁধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জালাল আহম্মেদ ফকিরসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে।