আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে আমতলীর বৃহৎ গরুর হাটে বিক্রিতে ধস নেমেছে। দেশীয় গরুতে হাট সয়লাব হলেও ক্রেতা সংঙ্কটে গরুর দাম কমে গেছে। বন্যার প্রভাবে হাটে তেমন পাইকারী ক্রেতা আসেনি। ফলে গরুর দাম অনেক কমে গেছে। গত সপ্তাহে এ হাটে এক হাজার দুই’শত ৮০ টি গরু বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে হাটে বিক্রি অর্ধেকে নেমে আসবে বলে ধারনা করছেন গরুর হাট পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
জানাগেছে, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ গরুর হাট আমতলী পৌরসভার গরুর হাট। সপ্তাহে প্রতি বুধবার হাট বসে। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারী ও ক্ষুদ্র বিক্রেতারা হাটে গরু নিয়ে আসেন। প্রতি হাটে অন্তত ৭ হাজার গরু আসে। এ হাটে দেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, যশোর, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষীপুর ও শিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত দের শতাধিক পাইকারী ক্রেতা আসেন। উত্তরাঞ্চলে বন্যা হওয়ায় এ হাটে এ সপ্তাহে তেমন পাইকারী ক্রেতা আসতে পারেনি বলে জানান হাট পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান। ফলে আমতলী হাটে গরুর দাম কমে গেছে। হাটে দেশীয় গরুতে সয়লাব হলেও ক্রেতা কম।
বরগুনা চরকগাছিয়া গ্রামের গরু বিক্রেতা দেলোয়ার গাজী ও মাসুম মৃধা বলেন, হাটে চারটি গরু এনেছি। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে পারেনি। ক্রেতা যারা এসেছে তারা দাম অনেক কম বলে। গত সপ্তাহে যেই গরুর দাম ছিল ৭০ হাজার টাকা, সেই গরুর দাম বলে মাত্র ৫৫ হাজার টাকা।
বরগুনা আঙ্গারপাড়া গ্রামের বিক্রেতা ছালাম খাঁন বলেন, ৫ টি গরু এনেছি। বাজারে ক্রেতা নেই। দাম অনেক কম।
মির্জাগঞ্চ উপজেলার কুদবারচর গ্রামের গরু বিক্রেতা সাইদুল গাজী বলেন, হাডে ক্রেতা নাই। আইজ গরু ব্যাচতে পারমু না। ব্যাচলে অ্যাকছের লচ দিয়া ব্যাচতে অইবে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পাইকার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, গরু কিনে কি করবো? বন্যার কারনে গরু বিক্রি করতে পারবো না। কিনলে অনেক লোকসান হবে।
লক্ষীপুর থেকে আসা পাইকার মোঃ আবু তাহের বলেন, বন্যার যে অবস্থা তাতে গরু কিনে লাভ নেই। ব্যবসাতো হবেই না উল্টো লোকসার গুনতে হবে। তাই কম গরু ক্রয় করছি।
আমতলী গরুর হাট পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে আমতলী গরুর হাটে পশু ক্রয়- বিক্রয়ে ধস নেমেছে। ওই অঞ্চল থেকে পাইকার আসতে পারেনি। যারা এসেছে তারা তেমন গরু কিনছে না। গত হাটে এক হাজার দুই’শ ৮০ টি গরু বিক্রি হয়েছিল । বিক্রির যে অবস্থা তাতে এ হাটে বিক্রি অর্ধেকে নেমে আসবে। তিনি আরো বলেন, কোরবানীর হাট উপলক্ষে বিক্রি থাকার কথা চিল জমজমাট কিন্তু অনেক কম।