আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, দুস্কৃতিকারীদের একটি দল প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ তাদের দেওয়া আগুনে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়।
এদিকে বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীররা৷ তারা বাড়ির ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়৷ পুলিশ সাধারণ মানুষ ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকে মারধর করে।
এরআগে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ভেতর সাধারণ মানুষ ঢুকে পড়ার পর জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে৷ খবর আল জাজিরার৷
চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি৷
আর এ আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো জানায়, তারা চায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনিও যেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷
ওই বৈঠকে বিক্রমাসিংহে জানান, সর্বদলীয় সরকার গঠন করার দ্বার উন্মোচন করতে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে প্রস্তুত আছেন।
এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছিল, বড় বিক্ষোভের আশঙ্কার পর প্রধানমন্তী বিক্রমাসিংহেও নিরপদ স্থানে সরে যান।
এদিকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়ার পর বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান নেন৷
আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভবনের ভেতর অবস্থিত সুইমিং পুলে গোসল করতে নামেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী৷ তখন তাদের হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়৷
তবে প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে একটুও ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷
তারা বলেছেন, গোতবায়া রাজাপাকসেকে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হবে৷
তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে শ্রীলংকার অর্থনীতির এমন দুরঅবস্থার জন্য দায়ী করা হয়৷ আর এ কারণে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
এখন মাহিন্দার ভাই গোতবায়ার পদত্যাগের দাবিতেও সরব হয়েছেন তারা৷
সূত্র: এনডিটিভি, আল জাজিরা