ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বরগুনার তালতলীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই পরীক্ষার্থীর পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন তাওহীদ ওই গ্রামের আব্দুল মালেক মুসল্লির ছেলে। তিনি তালতলী বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী। জানা গেছে, সোমবার কোচিং শেষে বাড়ি ফিরছিল তাওহীদ। ওই সময় প্রতিবেশী মোহাম্মদ বাদল হোসেনের সঙ্গে তার দেখা হয়। তাওহীদকে কটুক্তি করে বাদল। এর প্রতিবাদ করলে বাদল, সোহেল, হাফিজুর, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সোবাহানসহ ছয় থেকে সাতজন এ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে হাতুড়ি, লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। মারধর শেষে তাওহীদকে তারা বাড়ির সামনের সড়কে ফেলে রেখে যায়। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।আহত পরীক্ষার্থীর বড় ভাই সাগর মুসল্লী বলেন, ‘অহেতুক তর্কে জড়িয়ে ওরা আমার ছোট ভাইকে হাতুড়ি, লোহার রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এতে আমার ভাইয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’ অভিযোগের বিষয়ে বাদল বলেন, ‘তাওহীদ ও তার ৩-৪ বন্ধু মাদক সেবন করে মাতলামি করছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে ফরহাদ মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছে।’ তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘মালিপাড়া এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধরের খবর পেয়েছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’