বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com
আমতলীতে বিয়ের দাবীতে তিন সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশন শিকলে বেঁধে নির্যাতন

আমতলীতে বিয়ের দাবীতে তিন সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশন শিকলে বেঁধে নির্যাতন

আমতলী প্রতিনিধি ॥ বিয়ের দাবীতে প্রেমিক আবুল কালাম মীরের বাড়ীতে অনশনে বসেন প্রেমিকা তিন সন্তানের জননী এক নারী। তাকে কালাম মীরের ছোট ভাই, স্ত্রী, জা ও মা লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পশ্চিম আঠারোগাছিয়া গ্রামে রবিবার ১১ টার দিকে। সোমবার রাতে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার পশ্চিম আঠারোগাছিয়া গ্রামের ওই নারীর (৩২) বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে ওই নারী তার খালাতো দেবর আবুল কালাম মীরের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ তার স্বামী তাকে তালাক দেয়। ওই নারী কালাম মীরকে বিয়ের চাপ দিয়ে তিনি বিয়ে করতে রাজি হয়নি। পরে গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই নারী প্রেমিক কালামের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেন। ওই সময় কালাম বাড়ীতে ছিল না। ওইদিন রাতে তাকে কালামের ছোট ভাই বক্কর মীর, স্ত্রী লামিয়া, জা লাকি বেগম, মা পরি বিবি লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন তার দুই হাত, দুই পা, বাহু ও কোমড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তারা তার চোখ ও গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দেয় এমন দাবী ওই নারীর। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার ও নারী ইউপি সদস্য হাসনেহেনা বেগম তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সোমবার রাতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
প্রেমিকা ওই নারী বলেন, বিয়ের দাবীতে প্রেমিক আবুল কালাম মীরের বাড়ীতে অনশনে বসেছি। পরে তার ছোট ভাই বক্কর মীর, স্ত্রী লামিয়া, জা লাকি ও মা পরি বিবি আমাকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এভাবে তারা আমাকে তিন ঘন্টা নির্যাতন করেছে। তিনি আরো বলেন, তারা আমার চোখ ও গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
প্রেমিক আবুল কালাম মীরের বড় ভাই আবুল হোসেন মীর তার ভাইয়ের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়ী ছিলাম না। বাড়ী এসে শুনেছি তাকে মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, রাত ১১ টার দিকে দুই ইউপি সদস্য তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে। তবে তার ভাই কালাম মীর পালিয়েছেন।
নারী ইউপি সদস্য হাসনাহেনা বেগম ও ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে কালামের বাড়ী থেকে নাজমাকে উদ্ধার করেছি। পরে তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech