পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিখোঁজ হওয়ার ২ দিন পর ধানক্ষেত থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সাগর মুন্সী (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকা থেকে সাগর মুন্সীর মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। শ্বাস রোধ করে হত্যার পর খুনিরা লাশ গুম করতে মাটিচাপা দেয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আর এ খুনের সাথে তার নিকট আত্মীয়রা জড়িত বলে জানায় পুলিশ।
সাগর মুন্সী পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমজেদ মুন্সীর ছেলে। তবে তারা সপরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ ফেনী জেলা শহরে বসবাস করে আসছেন। ইন্দুরকানী উপজেলার কালিবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি। সাগর মুন্সী ঘটনার কয়েকদিন আগে নজরুল শেখের কালিবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
নিহতের শ্বশুর নজরুল শেখ সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার বিকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কালিবাড়ি বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সাগর। পরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও সাগর বাড়ি না ফেরায় আমরা তখন থেকে সাগরকে খুঁজে না পেয়ে শনিবার বিকালে ইন্দুরকানী থানায় একটি জিডি করি।
ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে আজাদ মোল্লা (১৫) নামে এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অনুসন্ধান করে ধানক্ষেত থেকে সাগর মুন্সীর লাশ উদ্দার করে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, সাগর মুন্সী নামে এক যুবক গত শুক্রবার কালিবাড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে স্বজনরা থানায় জিডি করলে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজাদ নামে এক কিশোরকে আটক করি। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পার্শ্ববর্তি ধানক্ষেত থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।