আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কার্লিংফোর্ড ক্যাসেল। আয়ারল্যান্ডের প্রাচীনতম এক ক্যাসেল। ৮২২ বছরের পুরনো এ ক্যাসেলটি নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে কাউন্টি লাউথের নদীর তীরে।
আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি লাউথের প্রাচীন এই ক্যাসেলটির নাম কার্লিংফোর্ড ক্যাসেল। যদিও এর আরেক নাম কিং জনস ক্যাসেল। ১১৯০ সালে ব্যারন হিউ ডি লেসি নির্মাণ করেন প্রাচীন এই স্থাপনাটি। তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা জন হিউজ ১২১০ সালে তিনি এটি পরিদর্শনে এসে দখল করে নেন। ১২৬০ সালে ক্যাসেলটির পরিধি আরও বাড়ানো হয়। পরে কনফেডারেট যুদ্ধের সময় হেনরি টিচবোর্ন ক্যাসলটি দখলে নিলেও, ১৬৫০ সালে আর্ল চার্লসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় ক্যাসলটি।
১৬৮৯ সালে উইলিয়ামাইট ও বয়নের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ ক্যাসেল, পরবর্তীতে সেনা হাসপাতাল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ১৭০০ সালে দুর্গটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে এটি সংস্কার করলেও এর অভ্যন্তরে প্রবেশ এখনো নিষিদ্ধ। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড়ে বাংলাদেশিরাও আসেন ঐতিহাসিক এ ক্যাসেল পরিদর্শনে।
বাংলাদেশি এক প্রবাসী বলেন, পুরনো অনেক কিছু দেখা যায় এবং এখানে পাশেই একটা সমুদ্র আছে। দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আর আপনারা যদি কেউ আসেন অনেক ভালো লাগবে।
আরেক বাংলাদেশি বলেন, আমরা যারা কাউন্টি লাউথে থাকি, আয়ারল্যান্ডে তাদের কাছে সবার কাছে পরিচিত খুব সুন্দর একটা জায়গা এই ক্যাসেল। একপাশে সাগর, একপাশে পাহাড় এবং সঙ্গে ক্যাসেল। সুন্দর একটা পরিবেশ।
কথিত আছে, যে পাহাড়ের ওপর ক্যাসেলটি নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটি ঘুমন্ত দৈত্য ফিন ম্যাককুমহেলের দেহ থেকে রূপ নেয়া।
একদিকে সমুদ্র, একদিকে পাহাড় আর তারই পাশ ঘেঁষে এই কার্লিংফোর্ড ক্যাসেল। আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি লাউথের এই ঐতিহাসিক জায়গাটিতে যারাই আসেন অভিভূত হন বারবার।