আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শস্য ও সূর্যমুখী তেল বহনকারী আরও চারটি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। বিবিসি আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার অবরোধের কারণে ইউক্রেনে লাখ লাখ টন শস্য আটকে আছে, যার ফলে আফ্রিকাসহ বহু দেশে খাদ্যের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য দেখা দিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম খাদ্যভাণ্ডার ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি একেবারে বন্ধ ছিল। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তির ফলে গত সপ্তাহে ২৭ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে প্রথম জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ে।
ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজগুলো প্রথমে তুরস্কে যাবে। সেখানে পরিদর্শন করবে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল, এরপর সেগুলো গন্তব্যে যাবে। জাহাজগুলো আজ রোববার ওডেসা ও চোরনোমর্স্ক বন্দর থেকে রওনা হয়েছে এবং সবাই সোজা বসফরাস প্রণালী হয়ে যাবে।
গত মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় করা চুক্তিতে বলা হয়েছে, ট্রানজিটে থাকা জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে না রাশিয়া। গত পাঁচ মাস ধরে চলা সংঘাতে শস্য রপ্তানি এই চুক্তিই একমাত্র কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার অবরোধের ফলে ইউক্রেনে দুই কোটি টন শস্য আটকে আছে। চুক্তি কার্যকর থাকলে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করতে পারবে ইউক্রেন।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শস্য রপ্তানি নিরাপদ হওয়ার ভালো লক্ষণ রয়েছে এবং কোম্পানিগুলোকে দেশের বন্দরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আশা করা যায় যে, এই রপ্তানি বিশ্বের খাদ্য সংকট কমাতে সাহায্য করবে এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।