বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

খোলা বাজারে কমেছে ডলারের দাম

খোলা বাজারে কমেছে ডলারের দাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১২০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

আজ মঙ্গলবার কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। যমুনা ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা প্রতি ডলার ১০২ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছেন। এছাড়া কোন কোন ব্যাংক ১০৩ টাকায় কিনে ১০৪ টাকায়ও বিক্রি করছেন।

এদিকে রেইন বো মানিএকচেঞ্জ থেকে জানা গেছে, ডলার তারা ক্রয় করছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় ও ১০৯  টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করেই ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলার পাননি গ্রাহকরা। তাই বাধ্য হয়েই খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হতো তাদের। এই সুযোগকে কাজে লাগায় ডলার সিন্ডিকেট চক্র। হু হু করে বেড়ে যায় ডলারের দাম। খোলা বাজারের সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই চড়া মূল্যে ডলার কেনেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ডলারের চাহিদা বাড়ায় একটি চক্র তা নিয়ে কারসাজি করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে তাদের দৌরাত্ম্য শেষের পথে বলে মনে করছেন তারা।

ডলারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি, ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের যোগসাজশের তথ্য পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুযোগসন্ধানী ব্যাংকার ও দালালচক্রের কারণে ৯৫ টাকার ডলার ১২০ টাকায় কিনতে বাধ্য হন সাধারণ ক্রেতারা। কারসাজিতে জড়িত থাকার দায়ে ছয়টি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠিও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে, ডলার নিয়ে কারসাজিতে গড়ে ওঠা চক্রকে ধরতে তৎপর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তবে দালালদের দৌরাত্ম্য থামেনি। ক্রেতারা এক্সচেঞ্জ হাউজে যাওয়ার আগেই দালালচক্র তাদের ফাঁদে ফেলেন। বিভিন্ন প্রলোভনে তাদের কাছে ডলার বিক্রি করেন। অভিযোগ রয়েছে, দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ হাউজের মালিক ও কর্মচারীদের সংযোগ রয়েছে।

খোলাবাজারে ডলারের লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ব্যাংকগুলোকে ডলার কেনাবেচার সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মানি এক্সচেঞ্জ যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। আর ব্যাংক ডলার বিক্রি করবে এক টাকা বেশি দরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপের ফলে ডলারের ঊর্ধ্বগতি থামে। কমতে থাকে খোলাবাজারে ডলারের দাম। খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে বাজার বাড়ি খেয়েছে (দাম কমে গেছে)। টাকার মান বাড়ছে অর্থাৎ ডলারের দাম কমছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech