আজ থেকে ছয় মাস আগের এই দিনে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে একের পর এক রাশিয়ার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে চলেছে ইউক্রেন। সে হিসেবে রাশিয়া ‘গভীর থেকে গভীর জলে’ ডুবে যাচ্ছে। ফলে, যোদ্ধা শক্তি হিসেবে দেশটির ভবিষ্যত ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে রাশিয়ার শক্তিমত্তা নিয়ে।
ইউরোপিয়ান বিশ্লেষকদের বরাতে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব কথা তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হচ্ছে—এই যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অযোগ্যতা বিস্ময়কর কিছু ছিল না।
ইউরোপিয়ান বিশ্লেষকরা বলছেন, আগ্রাসনের আগে করা মূল্যায়ন নিয়ে রাশিয়া তার সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছবি এঁকেছে। যেখানে মনে করা হয়েছিল, এই বাহিনী ভাল প্রশিক্ষিত এবং যুদ্ধের জন্য ভালভাবে সজ্জিত এবং সাইবার-ক্ষমতায় আরও দক্ষ।
এটি নতুন শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবস্থাপনা রুশ সামরিক বাহিনীর আরও বেশি শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হয়েছিল। অথচ আগ্রাসনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ঠিক তার উল্টোটা।
এরইমধ্যে বিশ্লেষকরা গত ছয় মাসে এই সামরিক আগ্রাসনের পাঁচটি দিক তুলে ধরেছেন। যেখানে তারা যুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। সেখানে বিভিন্ন উদাহরণও টেনেছেন তাঁরা।
তাদের আলোচনায় উঠেছে এসেছে এমন পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—১. রাশিয়ার দুর্বল দক্ষতা, ২. ইউক্রেন তার যা আছে, সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেছে, ৩. যখন এটি অস্ত্রের কাছাকাছি পৌঁছেছে, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম তার প্রতিরোধ করেছে, ৪. উভয়পক্ষের সরঞ্জাম কম চলছে ৫. খেরসন এবং দক্ষিণাঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।