মাত্র ৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নয়ডাতে টুইন টাওয়ারখ্যাত জোড়া ‘সুপারটেক’ ভবন। আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে অ্যাপেক্স ও সিয়েন নামে ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় ধুলিমেঘের সৃষ্টি হয়।
নয়ডার এই বিতর্কিত বহুতল ভবন দুটির নাম অ্যাপেক্সের উচ্চতা ছিল ১০৩ মিটার ও সিয়ানের উচ্চতা ৯৭ মিটার। বহুতল এই ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে হরিয়ানা থেকে ডিনামাইটসহ তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয়। এই কাজে খরচ হচ্ছে ২০ কোটি টাকা।
২০০৪ সালে নয়ডায় সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট নামে একটি হাউজিং সোসাইটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য নয়ডা অথোরিটি সেক্টর ৯৩-এর চার নম্বর প্লটে ৪৮ হাজার ২৬৩ বর্গ মিটার জায়গা বরাদ্দ দেয়। ২০০৫ সালে নয়ডা অথোরিটি এমারেল্ড কোর্ট নামে এই হাউজিং সোসাইটিতে ১৪টি টাওয়ার বা বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। অনুমোদন অনুযায়ী, ভবনগুলো ১০তলা হওয়ার কথা ছিল। সেই হিসাবেই ১৪টি টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
পরে ২০০৬ সালের জুন মাসে সুপারটেককে লিজ দেওয়া জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৮১৯ দশমিক ৫১ বর্গমিটার করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে ভবনগুলো ১০তলার পরিবর্তে ১২তলা করার অনুমতি দেয় নয়ডা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ওই আবাসন প্রকল্পে অতিরিক্ত দুটি টাওয়ার এবং একটি শপিং মল নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়।
২০১২ সালে নয়ডা কর্তৃপক্ষ নতুন নির্মাণ নকশা খতিয়ে দেখেন। সেই নকশা অনুযায়ী নতুন দুটি টাওয়ার চল্লিশ তলার হবে।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দুটি ভবনের মধ্যে ন্যূনতম জায়গা ছাড় না রাখার অভিযোগে ‘টুইন টাওয়ার’ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশ আবাসন আইন অনুসারে ফ্ল্যাট মালিকদের সম্মতি ছাড়াই বেআইনিভাবে ভবন দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই বেআইনি কাজের জন্য নয়ডা কর্তৃপক্ষ এবং সুপারটেকের মধ্যে আঁতাত তৈরি হয় বলেও রায়ে মন্তব্য করেন আদালত