আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করলে দেশটির বিরুদ্ধে শত শত নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় দেশগুলো। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া। ফলে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে পড়ে পোল্যান্ড, জার্মানির মতো দেশগুলো।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়াকে কাবু করতে বিকল্পের সন্ধানে নামে। আগামী বছরের মধ্যেই রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়। এমনকি সম্ভব হলে রাশিয়ার গ্যাস ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় ইউরোপ।
সেই লক্ষ্যেই এবার পোল্যান্ড ও জার্মানি বিকল্প গ্যাসের সন্ধানে রাশিয়ায় চোখ দিয়েছে। আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কাজ সবেমাত্র ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এরই মধ্যে সেখানে পোলিশ ও জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহকারীরা পরিদর্শনে গেছে।
সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার নিকটবর্তী এই ক্ষেত্র থেকে ১৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা জার্মানির ২০১৯ সালে ব্যবহৃত গ্যাসের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
তবে এখান থেকে গ্যাস পেতে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তবে বাস্তবতা বলছে আফ্রিকার গ্যাসে ইউরোপের প্রয়োজন মিটবে না। কারণ, ইউরোপকে গ্যাস দিতে গেলে আফ্রিকার অনেক দেশকে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হবে।
এদিকে আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ নাইজেরিয়ার এক জ্বালানি-বিষয়ক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোতে জাহাজে করে গ্যাস রপ্তানি করা কঠিন কাজ।
এছাড়াও এই প্রকল্পেও আছে চুরি ও উচ্চ খরচের ঝুঁকি। আর এই প্রকল্পের অন্যতম গ্যাস সরবরাহকারী মোজাম্বিকেও চলছে নানা রকম সহিংসতা।
গত জুলাই মাসেই ইতালি আলজেরিয়ার সাথে ৪০০ কোটি ডলারের চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ইতালির দুই কোম্পানিকে আলজেরিয়ার গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন শুরু করার অনুমতিও দেওয়া হয়। তবে কবে তারা কাজ শুরু করবে এখনও তা জানা যায়নি।