ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। সেটি নাও হতে পারত। ৬.২ ওভারে বিরাট কোহলির করা ‘ফেইক থ্রু’ আমলে নিলে বাংলাদেশ পেনাল্টি হিসেবে পেয়ে যেত ৫ রান। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত ৫ রানের আক্ষেপ হয়তো থাকত না ক্রিকেট-প্রেমী বাঙালিদের।
‘ফেইক থ্রু’ কী এবং ম্যাচে তখন কী হয়েছিল?
ফেইক থ্রু বলতে বোঝায়- হাতে বল না রেখেই বল ছোঁড়ার অভিনয় করা, ব্যাটসম্যানকে অহেতুক জোরে দৌঁড় দিতে বাধ্য করা বা বিব্রত করা। গতকাল ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কোহলির বিরুদ্ধে এমনই ফেইক থ্রু বা ফেইক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
৬.২ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিং করে বল ফেরত পাঠান আর্শদিপ সিং। ব্যাটে ছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। তখন বল হাতে না থাকলেও ছুঁড়ে মারার অভিনয় করেন বিরাট কোহলি।
বিষয়টি তখন দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মারাইজ ইরাসমাস এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রিস্টোফার মার্ক ব্রাউন আমলে নেননি। যদি তারা ফেইক থ্রুর বিষয়টি আমলে নিতেন, তাহলে বাংলাদেশ পেয়ে যেত পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান।
ক্রিকেটের ২০১৭ সালের আইনে ৪১.৫ ধারায় বলা আছে, ফেইক থ্রুর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি, প্রতারণা বা ব্যাটসম্যানকে বাঁধা দিলে এই আইন লঙ্ঘন হবে। যার পেনাল্টি হিসেবে ব্যাটিং দলকে ৫ রান দেওয়া হবে।
ফেইক থ্রু আলোচনায় ছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক অজয় জাদেজা, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের অহেতুক জোরে দৌঁড় দিতে বাধ্য করতেন তারা। সেজন্য ফেইক থ্রু বা ফেইক ফিল্ডিং বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) আইন করে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে।
সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি ম্যাচে একটা ফেইক থ্রু ছিল। আমরা ৫ রান পেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেটি পাইনি।’
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘দুটি ইস্যু ছিল। যার মধ্যে একটি ছিল ফেইক থ্রু। আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার বলছে সে এটা খেয়াল করেননি। একইসাথে ভেজা মাঠে খেলা নিয়ে সাকিব আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এখন বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে যাতে বলতে পারি সেটি আমাদের মাথায় আছে।’
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৫ রানের জয় পায় ভারত। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে ব্যাটে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু বৃষ্টি বাগড়া দিলে খেলা নেমে আসে ১৬ ওভারে। নতুন লক্ষ্য হয় ১৫১ রান। বাংলাদেশ ১৬ ওভারে করে ১৪৫ রান।