পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ঘটনাবলীর ওপর ‘গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছে ভারত।
এনডিটিভি জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘সবেমাত্র ঘটনা ঘটেছে। আমরা গভীরভাবে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি এবং চলমান পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।’
ইসলামাবাদ অভিমুখে পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর লংমার্চের মধ্যে বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ ওয়ালা চকের সমাবেশে ইমরান খানের কন্টেইনার মঞ্চ লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় তিনি ছাড়াও আরও পিটিআই নেতারা আহত হয়েছেন। পিটিআই’য়ের একজন কর্মী এ হামলায় নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্ট হত্যাচেষ্টা ছিল। হামলাকারীকে লোকজন থামিয়ে না দিলে পিটিআইয়ের পুরো নেতৃত্বই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।’
ঘটনার কিছু্ক্ষণ পরেই গ্রেপ্তার হওয়া এক সন্দেহভাজন হামলাকারীর একটি স্বীকারোক্তি ছড়িয়ে পড়ে স্যোশাল মিডিয়ায়। এতে ওই ব্যক্তি হামলার কথা স্বীকার করেছেন। হামলার একমাত্র লক্ষ্য ছিলেন ইমরান খান এবং এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন ওই যুবক।
ইমরানের ওপর হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিও।
ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহসভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।
এছাড়াও, বহু সেলিব্রেটি ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তার সুস্থতা কামনা করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ইমরানের আরোগ্য কামনা করেছেন তিনিও।