জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুপার টুয়েলভ প্রায় শেষের পথে। চার দল যাবে সেমিফাইনালে। গ্রুপ ‘বি’ থেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ক্ষীণ, তবে কাগজে-কলমে টিকে আছে। সামান্য আশার প্রদীপের দেখা মিলেছে দূরের কুঁড়েঘরে, সেদিকে মনে মনে নজর থাকলেও উপরে বাংলাদেশ ফিটফাট।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তুরুপের তাস। আসরের প্রথম ম্যাচে তাসকিনের অসাধারণ বোলিংয়ে টাইগাররা পায় ১৫ বছরের অধরা জয়ের দেখা। সর্বশেষ ভারত ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও বল হাতে রীতিমতো টুঁটি চেপে ধরেছেন ভারতীয় ব্যাটারদের।
কাছে গিয়েও পরাজিত হওয়ায় শেষ দেখে ফেলেছিল অনেকে। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার, আবারও উন্মুক্ত করল সুযোগ। বাংলাদেশের একটি ম্যাচ বাকি। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশ জেনে যাবে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ আছে কি না। নেদারল্যান্ডস যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারে, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে, তাহলে টাইগারদের সামনে উন্মোচিত হবে সেরা চারের দুয়ার।
গতি তারকা তাসকিন অবশ্য ভাবছেন না ওভাবে। তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, ‘এখনও যেকোনো কিছু হতে পারে। হতে পারে অলৌকিক কিছু। এর আগে আমাদের শেষ ম্যাচ জিততে হবে। তখন হিসাব-নিকাশ নিয়ে দেখা যাবে। শেষ ম্যাচেও সবার সমান মনোবল থাকবে।’
তাসকিনের কথা স্পষ্ট। অলৌকিক কিছু ঘটানোর আগে নিজেদের সামর্থ্যের সবটা দিয়ে ম্যাচ জিততে হবে। নইলে কোনো ফায়দা নেই। ৬ নভেম্বরের ম্যাচটা তাই বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা হারলে।