সপ্তাহ দুয়েক আগেও যদি বলা হতো, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে। তাতে হেসে উড়িয়ে দেওয়ার লোক কম ছিল না। ভোজবাজির মতো পাল্টেছে দৃশ্যপট, পাকিস্তান এখন ফাইনালে। ২০০৯ সালের পর ফাইনালে এবারই প্রথম উঠলো বাবর আজমের দল, শেষটা রাঙাতে চায় সেবারের মতোই
ভারতের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে ঠিক শেষ বলে হারে পাকিস্তান। এরপর ছন্দ ফিরে পায় তারা। টানা তিন জয়ে সেমিতে পাড়ি। সেখানে নিউজিল্যান্ডকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে।
বাবর আজম কী ভাবছেন ফাইনাল নিয়ে? সেটি বললেন সংবাদ সম্মেলনে। জানালেন আসরজুড়ে অবিশ্বাস্য যাত্রার কথা। তিনি বলেছেন, ‘শুরুর দুই ম্যাচে আমরা ভালো করিনি। পরের ৪ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ছেলেরা। সেমিফাইনালে দল হিসেবে অসাধারণ করেছি। ফাইনাল নিয়ে বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস দুটোই আছে।’
অপর সেমিফাইনালে ভারতকে পাড়ার দল বানিয়ে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস সামান্য পাত্তাও দেয়নি ভারতীয় বোলারদের। বাবর আজম তা নিয়ে চিন্তিত কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাদের পেস আক্রমণ অন্যতম সেরা। ওরা সবসময় সেরাটা দিয়ে আসছে। ফাইনালে ভারতের মতো কিছু হবে না। সেখানেও সর্বস্ব দিয়ে খেলবে ছেলেরা।’
প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে সমীহ করছেন, তবে ভয় পাচ্ছেন না বাবর আজম। বাবর বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড ভালো দল। সব বিভাগেই ওদের দারুণ খেলোয়াড় আছে। কিন্তু দল হিসেবে পাকিস্তান নিজেদের খেলা খেলবে। অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
এখানেই ব্যতিক্রম পাকিস্তান। যখন সকলে তাদের নিয়ে আশা করে, তারা আশার বেলুন চুপসে দেয়। মুদ্রার উল্টো পিঠে শূন্য থেকে পূর্ণ হওয়ার অসংখ্য নজির রেখেছে বলেই দলটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের ভাগ্যে কী আছে, তার জন্য অপেক্ষার বিকল্প নেই।