শেষ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। ১৬ দলের লড়াইয়ে আলাদা করে নজর কেড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ ধারাবাহিক ছিলেন পুরো বিশ্বকাপে। আইসিসি প্রকাশ করেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ।
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জস বাটলারের হাতেই থাকছে নেতৃত্ব। উইকেটের পেছনে দলকে আগলে রাখার দায়িত্বটাও তার ওপর। আসরে ২২৫ রান করেছেন ইংলিশ ওপেনার। সঙ্গে আছে নয়টি ডিসমিসাল। ওপেনিংয়ে তাকে সঙ্গ দেবেন আরেক ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ৪২.৪০ গড়ে হেলসের সংগ্রহ ২১২ রান।
ওয়ানডাউনের জায়গাটা বিরাট কোহলির জন্য অবধারিত। বিশ্ব আসরে ফিরেছেন পুরোনো রূপে। আসরে সর্বোচ্চ ২৯৬ রান তার, ৪ অর্ধশতকের সঙ্গে গড়টা ৯৮.৬৬! কোহলির পরে আছেন হার্ডহিটার সূর্যকুমার যাদব। গোটা আসরে সূর্যের প্রখরতায় ঝলসে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। করেছেন ২৩৯ রান। ব্যাটিং অর্ডারে পরের নামটা নিউজিল্যান্ড তারকা গ্লেন ফিলিপসের। ৪০.২০ গড়ে ফিলিপস নিয়েছেন ২০১ রান।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সেরা অলরাউন্ডারের খোঁজ করলে সবার আগে যার নাম আসবে, সেই সিকান্দার রাজা আছেন সেরা একাদশের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। চমৎকার একটি আসর কেটেছে রাজার। ব্যাট হাতে ২১৯ রানের পাশাপাশি কব্জির মোচড়ে তুলেছেন ১০ উইকেট। অলরাউন্ডার হিসেবে তাট সাথে আছেন পাকিস্তানের শাদাব খান। ব্যাট হাতে মাত্র ৯৮ রান করলেও স্পিনে কুপোকাত করে করেছেন ১১ শিকার।
অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো পেসারদের জন্য বরাবরই স্বর্গ। সেখানে আগুন ঝরিয়েছেন পেস তারকারা। সেরা একাদশে তাই থাকছেন চার পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিখ নরকিয়া নিয়েছেন ১১ উইকেট। আছেন ইংল্যান্ডের মার্ক উড, যার ঝুলিতে ৯টি উইকেট। পুরো বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পেস বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়া শাহিন আফ্রিদি আছেন নতুন বলে আগুন ঝরাতে। বিশ্বকাপে আফ্রিদির শিকার ১১টি। আর গোটা পেস আক্রমণের নেতা হিসেবে থাকছেন ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় স্যাম কারান। আসরে ১৩ উইকেট নিয়ে যিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে।
দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১২৮ রানের পাশাপাশি ৮ উইকেট শিকার করে ভারতকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত আনতে অবদান রেখেছেন তিনি।
এই একাদশে নেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার। কারণটা স্পষ্ট বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ছাড়া তেমন কেউই জলে উঠতে পারেননি। তা ছাড়া দল হিসেবেও খুব একটা আলো ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই বিশ্বকাপের সেরা একাদশে না থাকাটাই স্বাভাবিক।
একনজরে বিশ্বকাপের সেরা দল
জস বাটলার (অধিনায়ক, ইংল্যান্ড), অ্যালেক্স হেলস (ইংল্যান্ড), বিরাট কোহলি (ভারত), সূর্যকুমার যাদব (ভারত), গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড), সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে), শাদাব খান (পাকিস্তান), এনরিখ নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা), মার্ক উড (ইংল্যান্ড), শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান), স্যাম কারান (ইংল্যান্ড)।