রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে হয়নি শিরোপা জেতা। এবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে চোখ রেখে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ক্রোয়াটরা। তবে শুরুটা মনমতো হলো না তাদের। গেল বারের রানার্সআপদের রুখে দিয়েছে মরক্কো।
কাতার বিশ্বকাপে আরেকটি ম্যাচ ড্র হলো। এ নিয়ে ৯ ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচের ফল ড্র হয়েছে। ‘এফ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল মরক্কো-ক্রোয়েশিয়া। সমানে সমান লড়াই করলেও কোনো দল শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি।
আজ বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে বিকেল ৪টায় কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে উভয় দল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে।
ক্রোয়েশিয়ার একাধিক প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে মরক্কো। বিপরীতে মরক্কোর কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচের কারণে। ফল হিসেবে পূর্ণ পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হয়েছে দুদল। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ম্যাচে একটি করে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে তারা।
৪৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার বোর্না সোসার বানিয়ে দেওয়া বল জালে ঢোকাতে ব্যর্থ হন নিকোলা ভ্লাসিচ। অবশ্য নিকোলাকে সেভাবে দোষ দেওয়া যায় না। কারণ দুর্দান্তভাবে গোলটি সেভ করেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু। সে যাত্রায় বেঁচে যায় মরক্কো।
মধ্য বিরতি শেষে মাঠে নেমে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করেন লুকা মদরিচেরা। তবে মরক্কোর গোলরক্ষক এবং রক্ষণভাগ ভেঙে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করে নিতে ব্যর্থ হন তারা।
৬৬ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ দলকে বাঁচান। মরক্কোর স্ট্রাইকার জিয়েচের মারা বলটি বুলেটগতিতে ছুটে যায় গোলের দিকে। প্রচণ্ডগতির বলটি ডোমিনিক ঘুষি মেরে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এর বাইরে পুরো ম্যাচজুড়ে গোল আদায় করার মতো তেমন কোনো ঘটনা দেখা যায়নি।
পুরো খেলার ৬৫ শতাংশ সময় ধরে নিজেদের পায়ে বল রাখতে পেরেছে ক্রোয়েশিয়া এবং ৩৫ শতাংশ রেখেছে মরক্কো। ৭৮ মিনিটে লুকা মদরিচকে ফাউল করার কারণে একমাত্র হলুদ কার্ড পান মরক্কোর সোফিয়ান আম্রাবাত। ক্রোয়েশিয়া ৫টি কর্নার কিক পেলেও মরক্কো একটিও পায়নি। মরক্কো ৮ বার গোলে শর্ট নিতে পারে, বিপরীতে ক্রোয়েশিয়া গোলে শর্ট নিয়েছে পাঁচবার।