কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম নান্দনিক গোল করলেন আবদেলহামিদ সাবিরি। ডি-বক্সের বাইরে লেফ্ট উইং থেকে ফ্রি কিক পেয়ে যে বাঁকানো শট তিনি করলেন, সেটি সরাসরি জড়িয়ে গেল বেলজিয়ামের গোলে। এককথায় এটিই ছিল বেলজিয়াম-মরক্কো ম্যাচের মূল নির্জাস। খেলার শেষ মুহূর্তে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান বাড়িয়েছেন জাকারিয়া আবুখলাল।
আজ রোববার কাতারের দোহায় অবস্থিত আল থুমামা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম-মরক্কো। প্রথমার্ধে গোলহীন সময় পার করে উভয় দল। খেলার শেষ ২০ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। তাও আবার একটি নয়, দুইটি। তাতেই ঘটে বেলজিয়ামের শোচনীয় পরাজয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করেন বেলজিয়াম ডিফেন্ডার টমাস মিউনিয়ার।
মরক্কোর পক্ষে ফ্রি কিকের জন্য আসেন বদলি খেলোয়াড় আবদেলহামিদ সাবিরি। তিনি যে শটটি করে দলকে লিড এনে দিলেন তা ছিল দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য। লেফ্ট উইং থেকে সাবিরির বাঁকানো শটটি বুঝিয়ে দিল ফুটবলের মজাটা কোথায়। গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়াম।
দলের অবস্থা সামাল দিতে ৮০ মিনিটে মাঠে নামানো হয় তারকা রোমেলু লুকাকুকে। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না বেলজিয়ামের। কারণ দিনটিই ছিল মরক্কোর। ৯১ মিনিটে মরক্কোর গোলরক্ষক মুনির এল কাজুই এক শট নিয়ে বল পাঠান মধ্যমাঠের ওপারে। সেখান থেকে হাকিম জিয়াছ কয়েক পা এগিয়ে বল দেন জাকারিয়া আবুখলালকে। জাকারিয়া সুন্দর করে বেলজিয়াম গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান বল। দল পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোল।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেলজিয়ামকে। এদিন প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে হাকিম জিয়াছের এক দারুণ শটে বল সরাসরি গিয়ে বেলজিয়ামের জালে জড়িয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি (ভিএআর) গোলটি বাতিল করেছিলেন।
এ ছাড়া ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। ৫ মিনিটে স্ট্রাইকার মিচি বাতশিয়াই গোল করার সুযোগ পেয়ে তা নষ্ট করেন। এর ১০ মিনিট পরে সুযোগ পেয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন, আমাদৌ অনানা, টমাস মিউনিয়ার। তবে বেলজিয়ামের পক্ষে কেউ সফলতা পাননি।