দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে জিততেই হতো দক্ষিণ কোরিয়াকে। এই পরীক্ষায় সফল কোরিয়ানরা। পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করল দক্ষিণ কোরিয়া।
‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে সমীকরণ এমন ছিল যে, জিতলেই পরের পর্বে। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আরেকটি অঘটন দেখলো বিশ্ব। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পর্তুগালের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে আগেই। মাঠে নেমেই আগ্রাসী পর্তুগাল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোল পায় ড্যালোটের অ্যাসিস্টে গোল করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রিকার্ডো হোরতা। এগিয়ে গিয়ে থেমে থাকেনি পর্তুগিজরা। একাধিক আক্রমণ শানালেও আর গোল পায়নি তারা।
বলা ভালো পেতে দেননি দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক কিম। কোরিয়ার গোলমুখে পর্তুগাল শট নেয় ৯টি, যার ৬টি অন টার্গেট। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া লড়াই করে সমানতালে। ফলশ্রুতিতে ২৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান কিম উন। গোটা প্রথমার্ধে পর্তুগিজদের গোলমুখে ৫টি শট নেয় কোরিয়ানরা। ৪৪ শতাংশ বল পজিশনে রেখে ভালোই জবাব দেয়।
১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর মাঠে নেমে আরও গোছালো ফুটবল খেলে এশিয়ার দলটি। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিলো না। তবে ৯২ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে একা বল টেনে নেন সন, পর্তুগালের বক্সের বাইরে পাস দেন হোয়াং হিচানকে। সেখান থেকে সুযোগ মিস করেননি এই ফরোয়ার্ড।
যাদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত ছিল, তারাই উঠে গেল পরের পর্বে। কাতার দেখলে আরেকটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। শেষের আগে হার না মানার মানসিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া বার্তা দিল, বিশ্বকাপ উন্মুক্ত।