স্পোর্টস ডেস্ক :
ব্রাজিল ফুটবলের দুরন্ত রূপ দেখেছে কাতার বিশ্বকাপের দর্শকরা। সাম্বার ছন্দ তুলে নেইমাররা হারিয়েছিলেন সার্বিয়াকে। এরপর নেইমারের ইনজুরি ভাবিয়ে তুলেছিল সিলেকাওদের। তবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও ১-০ গোলে জিতেছে তারা। নেইমারহীন ব্রাজিলের আক্রমণের ধার কিছুটা কম থাকলেও সুইসদের বিপক্ষে ব্রাজিলের ছন্দটা মোটামুটি ঠিকই ছিল। তবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বড় ধাক্কা খেয়েছে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে। ক্যামেরুনের কাছে হেরে গেছে ১-০ গোলে। ঐতিহাসিক এই জয়ে ক্যামেরুনের ফুটবলপ্রেমীরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন।
কিন্তু দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে তিতে কী ভুল করলেন? প্রশ্নটা এখন বার বারই খোঁচা দিচ্ছে তাদের মনে। ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রথম একাদশে নয়টি পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ তিতে। খেলায় ছন্দ মোটামুটি ঠিকই ছিল। ফ্রেড, রডরিগো, মার্টিনেলি, জেুসসরা ২১ বার প্রতিপক্ষের গোলমুখে আক্রমণে যান। এর মধ্যে সাতবার অন টার্গেটে শট নেন। কিন্তু ক্যামেরুনের ডিফেন্স ভাঙতে পারেননি তারা। নিখুঁত শট নিতে পারেননি গোলপোস্টে। গ্রুপপর্বের শীর্ষস্থান প্রায় নিশ্চিত ছিল ব্রাজিলের। হারার পরও শীর্ষেই আছে ব্রাজিল। এই কারণেই ঝুঁকিটা নিয়েছেন তিতে। বিশ্বকাপের ট্রফি জিততে হলে নাকি এই ধরনের ঝুঁকি নিতেই হয়।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সেকথা নির্দ্বিধায় বলেও গেলেন তিনি। তিতের মতে, বিশ্বকাপ জয় করতে হলে পুরো দলের কন্ডিশনিংটা জরুরি। ক্যামেরুন ম্যাচটাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই। ম্যাচের পুরোটা সময় ভালোই খেলেছে ব্রাজিল। তিতে যেমনটা বললেন, ‘আমরা হেরেছি ঠিক। তবে দলটা দারুণ খেলেছে।’ মার্টিনেলি আর ফ্যাবিনহোও একই কথা বলেছেন। বিশ্বকাপটা জয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রাজিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর গত দুই ম্যাচে ব্রাজিলের ছন্দে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এর কারণ, নেইমার নেই।
তবে নেইমারের অপেক্ষায় আছেন তিতে। নেইমারের অপেক্ষায় আছে ব্রাজিলের সবাই। যদিও হলুদ জার্সিধারীদের ডাক্তার রডরিগো লাসমার নেইমারকে নিয়ে আশার বাণী শোনাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘নেইমার ঠিক পরের ম্যাচেই (দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে) খেলতে পারবে কি না আমি নিশ্চিত নই।’ সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালিতে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই রডরিগোর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন নেইমার।
ডাক্তারের সবুজ সংকেত না পেলে সমস্যায়ই পড়বেন তিতে। অবশ্য নেইমার নিজেই বলেছেন, ‘আমি ফিরছি।’ ক্যামেরুন ম্যাচের আগে তার ছোট্ট একটা পাসের দৃশ্য সমর্থকদের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে।