শিশুদের মতো হাহাকার করে চোখের জলে কাতার ছেড়েছেন নেইমার। দলের শোচনীয় হার মেনে নিতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। এরই মধ্যে জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শঙ্কা রয়েছে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়েও।
গত ৯ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। দলের বিদায়ে মাঠের মধ্যেই অশ্রুসিক্ত চোখে পড়ে যান নেইমার। সতীর্থরা গিয়ে সান্ত্বনা দেন তাঁকে। অবুঝ নেইমারের ভেঙে যায় মনোবল।
এমনিতেও খেলার আগে কাতারকে শেষ বিশ্বকাপের ঘোষণা দিয়ে খেলেছিলেন তিনি। এরপরে দল হেরে যাওয়ায় আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে বেড়ে যায় আরও অনিশ্চয়তা।
হারের পরে ব্রাজিল তারকা নেইমার জুনিয়র বলেছেন, ‘যদি আমি এখনই শেষ বলি, তাহলে সেটি বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তবে, আমি কোনো কিছুর নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।’
নেইমারের এমন অনিশ্চয়তার বাণী শুনে হতাশ হয়েছেন ভক্তরা। তাঁরা চাইছেন নেইমার আবার ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামবেন। জ্বলে উঠবেন ২০২৬ সালের কানাডা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ফুটবলের ২৩তম বিশ্বকাপের আসরে। তবে, সে পর্যন্ত বারবার চোটে পড়া নেইমার কতটুকু সুস্থ থাকবেন সেটি সময় বলে দেবে।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়েছিলেন নেইমার। তাতে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ফিরলেও পুনরায় চোটে পড়ার শঙ্কাও ছিল। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে আগেও চোটে জর্জরিত ছিলেন নেইমার। তাতে পুরো আসর জুড়ে মেলতে পারেননি নিজেকে। আর ২০১৪ সালে নিজেদের মাটিতে তো মেরুদণ্ডের হাড়ই ভেঙে গিয়েছিল দুঃখী এই তারকার। ফলে জনপ্রিয় এই স্ট্রাইকারের হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।