স্পোর্টস ডেস্ক :
সেমিফাইনালে ডি মারিয়া, আকুনা, মন্তিয়েল ছাড়াই দাপটে খেলেছে আর্জেন্টিনা। বিশেষ করে হুলিয়ান আলভারেজ ও লিওনেল মেসি মেলবন্ধন ছিল অনবদ্য।
তবে সেমির মূল একাদশের চেয়েও হয়তো আরও একটু শক্তিশালী একাদশ নিয়েই হয়তো রবিবার মাঠে নামতে চাইবেন লিওনেল স্কালোনি। দেখে নেওয়া যাক কারা থাকতে পারেন স্কালোনির একাদশে।
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ প্রথম ম্যাচে দুই গোল হজম করলেও এর পর থেকে পোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পেনাল্টিতেও দেখিয়েছেন নিজের দাপট।
ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ফেভারিট সৌদির বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকি পাঁচ ম্যাচের অজেয় যাত্রায় বেশ বড় অবদান রাখেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
নিকোলাস ওতামেন্দি সেন্ট্রাল ডিফেন্সে রোমেরোর সঙ্গী। তার থেকে ১০ বছরের বড় নিকোলাস ওতামেন্দি। আসরে এখন পর্যন্ত দলের সফল যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন বেনফিকার এই খেলোয়াড়।
নাহুয়েল মলিনা জাতীয় দলের হয়ে গত বছরের মাঝামাঝি অভিষিক্ত নাহুয়েল মোলিনা অল্প সময়ের মধ্যেই লিওনেল স্কালোনির দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এই রাইট-ব্যাক, যা আর্জেন্টিনার হয়ে তার প্রথম।
নিকোলাস তাগলিয়াফিকো দুটি হলুদ কার্ড দেখায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল মিস করেন মার্কোস আকুনিয়া। তার জায়গায় খেলা লেফট-ব্যাক নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ক্রোয়াটদের বিপক্ষে ভালো খেলেন, রক্ষণে যোগ করেন দৃঢ়তা। তারপরও ফাইনালে স্কালোনি আক্রমণাত্মক কৌশল নিলে শুরুর একাদশে জায়গা হারাতে পারেন ৩০ বছর বয়সী তাগলিয়াফিকো, ফিরতে পারেন আকুনিয়া।
লেয়ান্দ্রো পারেদেস চলতি বিশ্বকাপে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ছয় ম্যাচের চারটিতে খেলেছেন মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেস। সেমি-ফাইনালেও ছিলেন শুরুর একাদশে। তবে ফাইনালে স্কালোনি পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে দল সাজালে লিসান্দ্রো মার্তিনেজ আসতে পারেন পারেদেসের জায়গায়। আবার আনহেল দি মারিয়া শুরুর একাদশে ফিরলেও বেঞ্চে বসতে হতে পারে ২৮ বছর বয়সী পারেদেসকে।
রদ্রিগো ডি পল স্কালোনির কৌশলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে তিনি খেলেছেন চোট নিয়ে। ভক্তদের কাছে ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার হয়ে উঠেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসির অনানুষ্ঠানিক ‘বডিগার্ড।’
আলেক্সিস মাক অ্যালিস্টার প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার জাতীয় দলে অভিষেক ২০১৯ সালে। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি এবং এই বছর স্কালোনির দলে ফেরার পর জায়গা করে নেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।
এনজো ফার্নান্দেস মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার আত্নঘাতী গোলে শঙ্কায় পড়ে যায় আর্জেন্টিনা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ২-১ গোলে জেতে তারা।
হুলিয়ান আলভারেজ কাতারে নিজেকে চেনাচ্ছেন নতুন করে। এই আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার গোল করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সেমি-ফাইনালের দুটি। লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তুলেছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
লিওনেল মেসি নিজের শেষ বিশ্বকাপে দেশকে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিওনেল মেসি। পাঁচ গোল করে ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি।