টাকার থলে নিয়ে বসে ছিল কাতার। দেশটি আগের বিশ্বকাপ থেকে ২৯ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে ফুটবলের ২২তম আসরে। নানান চড়াই-উতরাই পার করে কাতারে সফলভাবে শেষ হলো বিশ্বকাপের এবারের আসর। পুরো আসর জুড়ে ছিল আলোচনা-সমালোচনা। সব ছাপিয়ে আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসির হাতে শিরোপা—এটিই এখন বিজ্ঞাপন।
গতকাল রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফুটবলের ২২তম আসরের শিরোপা জিতে মেসি ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করেন। সেইসঙ্গে দলকে ৩৬ বছর পরে এনে দেন শিরোপা।
টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৪-২ গোলে জেতা আর্জেন্টিনা ৬.১৭ কেজি ওজনের ১৮ ক্যারেট সোনার ট্রফির সঙ্গে পেয়েছে প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা (৪২ মিলিয়ন ডলার)। আর ফুটবলের আরেক পরাশক্তি ব্রাজিল পেয়েছে প্রায় ১৭৮ কোটি টাকা (১৭ মিলিয়ন ডলার)। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ায় কম টাকা নিয়েই ফিরতে হয়েছে নেইমারদের।
এ দিকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবার হয়েছে রানার্সআপ। কিলিয়ান এমবাপ্পের দল জিতেছে প্রায় ৩১৪ কোটি টাকা (৩০ মিলিয়ন ডলার)। তৃতীয় হয়ে ক্রোয়েশিয়া পেয়েছে প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা (২৭ মিলিয়ন ডলার)। চতুর্থ দল মরক্কো পেয়েছে প্রায় ২৬২ কোটি টাকা (২৫ মিলিয়ন ডলার)।
কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বাদ পড়া প্রতি দল পেয়েছে প্রায় ১৭৮ কোটি টাকা (১৭ মিলিয়ন ডলার)। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দল পেয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা (১৩ মিলিয়ন ডলার)। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া দলগুলো গুনেছে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা (৯ মিলিয়ন ডলার)। আর বাছাইপর্ব খেলা দলগুলোকেও বঞ্চিত করেনি কাতার। তারা পেয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা (২ মিলিয়ন ডলার)।