জিনেদিন জিদানের ফুটবল ক্যারিয়ার যতটা বর্ণিল ছিল, কোচিং ক্যারিয়ার তারচেয়ে কম নয়। রিয়াল মাদ্রিদে জিতোছেন সম্ভাব্য সব ট্রফি। ফ্রান্সের এই মহাতারকা বর্তমানে কোনো দলের কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত নেই। তাকে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে অনেক ক্লাব, দৌড়ে আছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলও।
জিদানের প্রকাশ্য চাওয়া নিজ দেশের কোচ হবেন। গত বছর জুনে এল ইকুইপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিদান বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি চাইব আমার দেশকে কোচিং করাতে। তবে, চাইলেই হবে না। এটি আমার হাতে নেই। ফ্রান্স ফুটবল যদি মনে করে, তাহলে আমি প্রস্তুত। তারা জানে, কখন কী করতো হয়। তাদের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।’
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স হেরে যাওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিল ফ্রান্সের দায়িত্বে বদল আসবে। একই সময়ে কোচ দিদিয়ের দেশমের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় তা জোরালো হয়। কিন্তু, ফ্রান্স ভরসা রেখেছে দেশমেই। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত লা ব্লুদের কোচ থাকছেন তিনি। এতে আপাতত পূরণ হচ্ছে না জিদানের স্বপ্ন।
ফ্রান্সের কোচ হতে না পারলেও বাতাসে ভেসেছে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা। জিদান তা নাকচ করে দিয়েছেন। পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোচ খুঁজছে। এই দুই দেশে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও ফার্নান্দো সান্তোসের বিকল্প হিসেবে পর্তুগাল ঝুঁকছে বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজের দিকে।
জাতীয় দল ছাড়াও জিদানের সামনে সুযোগ আছে ক্লাব ফুটবলে আরেকবার যুক্ত হওয়ার। জুভেন্টাসে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি দলকে আবার ছন্দে এনেছেন। আপাতত তুরিনে যাওয়ার আশাও ক্ষীণ জিদানের। শোনা গেছে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির চাওয়া জিদান যেন তার ক্লাব পিএসজিকে কোচিং করায়। তবে জিদান সেটি গ্রহণ করেননি। সবমিলিয়ে
ধোঁয়াশায় জিদানের ভবিষ্যৎ। কোচ জিদান কোথায় যাবেন সেটা জানার জন্য হয়ত আরও অপেক্ষা করতে হবে ফুটবল ভক্তদের।