বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন তৌহিদ হৃদয়। টানা দুই ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের নায়ক আজও ঝড় তুললেন শেরেবাংলায়। চার-ছক্কার ছন্দে কাঁপিয়ে দিলেন ঢাকা ডমিনেটর্সকে। তরুণ এই ব্যাটারের মুগ্ধতায় ঢাকাকে ২০২ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ জানাল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসরে এটিই প্রথম দুইশ ছাড়ানো দলীয় সংগ্রহ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়। ১৮২ স্ট্রাইক রেটে ৪৬ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি করে চার-ছক্কায়।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা ডমিনেটর্স। আগে ব্যাট করতে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় সিলেট। তাসকিন আহমেদের করা ওই ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট, হারিস করেন ৬ বলে ৬ রান।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে চমৎকার জুটি উপহার দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ। এই জুটিতে স্কোর বোর্ডে আসে ৫৭ বলে ৮৮ রান। ১১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আলামিন। ফিরিয়ে দেন থিতু হয়ে যাওয়া শান্তকে। ৭ বাউন্ডারি দুই ছক্কায় ৩৯বলে ৫৭ রান করে থামেন সিলেটের ওপেনার।
শান্ত ফিরলেও উইকেটে ছিলেন ছন্দে থাকা তৌহিদ। ৩২ বলে ব্যাক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ এই ব্যাটার। ১৯তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে টিকে ছিলেন তৌহিদ। মাঠের চারপাশেই বল উড়িয়েছেন ছক্কা-চারে। ঢাকার বোলারদের তুলোধুনো করে সিলেটকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন তৌহিদ। শেষ দিকে নেমে মাশরাফী করেন ৪ বলে ৭ রান।
ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে বল হাতে ৩৬ রান দিয়ে তাসকিন আহমেদ নেন দুটি উইকেট। আলামিন ৩টি উইকেট নিতে দেন ৪৫রান। এ ছাড়া একটি উইকেট করে নেন আরাফাত সানি ও আরিফুল হক।