প্রথম দেখায় ১৯৪ রান করেও হার দেখেছিল ফরচুন বরিশাল। দ্বিতীয় দেখায় সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানদের সামনে। কিন্তু মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে এবারও পারল না সাকিবের ফরচুন বরিশাল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে সিলেটের কাছে হেরে গেল সাকিব আল হাসানের দল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ২ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল মাশরাফীর সিলেট। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে সিলেট। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকল সাকিবের বরিশাল। ফরচুন চলতি বিপিএলে দুই ম্যাচের দুটিই হারল সিলেটের কাছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭৩ রান তুলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৬ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
জবাব দিতে নেমে ১৭১ রানে থামে সিলেট। রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু করে বরিশাল। ওপেনিং জুটিতে সাইফ হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান মিলে তোলেন ৪২ রান। পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ফিরিয়ে দেন ১৯ বলে ৩১ রান করা সাইফকে।
ওপেনিং থেকে সরিয়ে এনামুল হক বিজয়কে নামানো হয় ওয়ানডাউনে। কিন্তু তিনে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
দুই উইকেট হারানোর পর জাদরানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। এই জুটিতে ভালোই ছুটছিল বরিশাল। কিন্তু রেজাউর রহমান রাজা ফেরান দুজনকেই। প্রথমে বিদায় করেন জাদরানকে, এরপর ভাঙেন সাকিবের স্টাম্প। ৩৭ বলে ৪২ রান করেন জাদরান। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৯ রান।
থিতু হওয়া দুই ব্যাটার ফিরলে হাল ধরার দায়িত্ব পড়ে ইফতেখার আহমেদের ওপর। নিজের দায়িত্ব এবার আর সামলাতে পারলেন না ইফতেখার। মিরাজ ও ইফতেখার মিলে পারলেন না দলকে উদ্ধার করতে। শেষ ওভারে এসে হারের মুখ দেখল বরিশাল।
এর আগে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাট করতে নেমে খালেদের প্রথম ওভারে উড়ন্ত সূচনার আভাস দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ওপেনিং জুটি জেগে ওঠার আগেই ধাক্কা দেয় বরিশাল।
মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে সিলেটের তিন উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এক ওভারেই তিনি তুলে নেন তৌহিদ, মুশফিকুর রহিম ও জাকির হাসানের উইকেট। এর মধ্যে জাকির ও মুশফিক ফেরেন গোল্ডেন ডাকে, তৌহিদ করেন ৪ রান।
দলীয় ১৫ রানে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় সিলেট। টম ম্যুরকে নিয়ে সেই বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত। এই জুটিতে সিলেট পায় ৮১ রান।
১৪তম ওভারে ভাঙে এই জুটি। ৪০ রান করা ম্যুরকে বিদায় করেন সাকিব। তবে ম্যুর ফিরলেও সিলেটকে লড়াইয়ে রাখেন শান্ত। এর মধ্যে ৪৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। এরপর সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন। তবে, ইনিংস শেষ হওয়ায় শতক ছোঁয়া হয়নি। অপরাজিত ৮৯ রান করেই মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। তাঁর সঙ্গে শেষ দিকে ২১ রান করেন থিসারা পেরেরা।
বরিশালের হয়ে বল হাতে ৩৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ওয়াসিম। এ ছাড়া ১১ রান দিয়ে একটি নেন সাকিব আল হাসান। সমান একটি নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।