পয়েন্ট টেবিলে দুদলের অবস্থাই নড়বড়ে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। এমন সমীকরণের ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। খুলনাকে হতাশায় ডুবিয়ে চলতি বিপিএলের লড়াইয়ে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল নাসির হোসেনের দল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২৪ হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্টে আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে ঢাকা। অন্যদিকে হেরে যাওয়া খুলনার পয়েন্টও সমান ৪।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে নাসির হোসেনের দল। এক নাহিদুলে এলোমেলো হয়ে যায় ঢাকার টপ অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। প্রথমে নেন ওপেনার মিজানুর রহমানকে। এরপর ফেরান উসমান ঘানিকে। টিকতে দেননি মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা অ্যালেক্সকেও।
এক স্পেলে অবিশ্বাস্য বোলিং করে ঢাকাকে নাড়িয়ে দেন নাহিদুল। তাঁর স্পেলটি ছিল ৪-২-৬-৪। মানে নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন চারটি উইকেট। এর মধ্য ছিল দুটি মেডেন ওভার।
দলীয় ৩৮ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। সেই বিপদের মধ্যেই জ্বলে ওঠেন সৌম্য সরকার। উইকেটে থিতু হয়ে তিনি উপহার দেন ৪৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাটে চড়েই কোনো মতে স্কোরবোর্ডে ১০৮ রান তোলে ঢাকা। সৌম্যের পাশাপাশি নাসির হোসেন করেন ৫ রান। এ ছাড়া তাসকিন করেন ১২ রান।
এত ছোট লক্ষ্য হওয়ায় খুলনার সামনে একেবারে সহজ সমীকরণ ছিল। জিততে হলে ১২০ বলে করতে হতো ১০৯ রান। কিন্তু এই সহজ কাজটিই করতে ব্যর্থ খুলনা। রান তাড়ায় রীতিমতো হতাশ করল খুলনা।
একমাত্র তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক ইয়াসির যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। তামিম করেন ২৩ বলে ৩০ রান। ২৪ বলে ২১ করেন অধিনায়ক ইয়াসির। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাত্র ৮৪ রানেই থেমে যায় খুলনা।
বল হাতে ঢাকার জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তাসকিন আহমেদ। মাত্র ৯ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট। সমান দুটি করে নেন নাসির হোসেন ও আলামিন। একটি করে নেন সালমান ও আমির হামজা।