একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছিল আগেই। শেষ যে টুকু আশা ছিল সেটাও এবার শেষ হয়ে গেল খুলনা টাইগার্সের। প্লে অফে যাওয়ার লড়াই থেকে খুলনা টাইগার্সকে বিদায় করে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৩৭ রানের দাপুটে জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে চলমান বিপিএলের প্লে অফ পর্ব নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের দল।
আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন ইফতেখার আহমেদ। জবাব দিতে নেমে ১৫৭ রানে থেমে যায় খুলনা টাইগার্স।
এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের টিকেট পেয়েছে বরিশাল। টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে সাকিবের দল। সবার আগে প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এক নম্বরে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেয় সাকিব আল হাসানের দল। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ফজলে মাহমুদ মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৩২ রান।
চতুর্থ ওভারে এই জুটি ভাঙেন ম্যাকারেন। ফিরিয়ে দেন এনামুলকে। বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ১৩ করে বিদায় নেন বরিশালের ওপেনার। নবম ওভারে ভাঙে আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদের প্রতিরোধ। থিতু হয়ে যাওয়া এই ওপেনারকে মাঠ ছাড়া করেন হাসান মুরাদ। সাজঘরে ফেরার আগে মুরাদ করেন ২৮ বলে ৩৮ রান।
ওয়ানডাউনে নেমে ২৩ বলে ২৩ রান যোগ করেন ইব্রাহিম জাদরান। এরপর জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদ। এই জুটিতে রান রেট বাড়িয়ে নেয় বরিশাল। ৩৬ বলে এই জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫২ রান। সাকিবকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন ম্যাকারেন। ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক।
সাকিব ফিরলেও শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন ইফতেখার। উইকেটে থিতু হয়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ৩২বলে ৫১রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা সাজানো ছিল সমান ৩টি করে ছক্কা-চার দিয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। দলীয় ৩ রানেই হারায় ওপেনার তামিম ইকবালকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে শাই হোপ ও বালবার্নে মিলে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ৪৭ রানে ভাঙে এই জুটি। ১২ রানে ফেরেন বালবার্নে। ৩৭ রান করে বিদায় নেন শাই হোপও।
মাঝে উইকেটে থিতু হয়ে ৬০ রানের ইনিংস উপহার দেন ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়ায় তাঁর ইনিংস যথেষ্ঠ ছিল না। তিনি ফেরার পর শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।