ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশ দুটিতে বাড়ছে মরদেহের সংখ্যা। গৃহহীন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক লোক। জীবন রক্ষার্থে ঠান্ডা ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছে তারা। একইসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। তবে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে উঠছে।
ইতোমধ্যে দুদেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা ৫০ হাজারে ছাড়াবে বলে ধারণা জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথের।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে গতকাল শনিবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তে যান গ্রিফিথ। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, নিহতের সংখ্যা বর্তমানের দ্বিগুণ হবে।’
এক টুইট বার্তায় গ্রিফিথ বলেন, ‘আমি আজ #তুরস্ক-#সিরিয়ার সীমান্তে রয়েছি। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার জনগণকে আমরা নিরাশ করেছি। তারা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করছে। তারা আন্তর্জাতিক সহায়তার দিকে তাকিয়ে যা এখনও পৌঁছায়নি। দ্রুত সম্ভব এই ব্যর্থতা শুধরে নেওয়াই আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটাই এখন আমার ফোকাস।’
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সৃষ্ট বিপর্যয়ে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৬০৫-এ দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এবারেরটি। অন্যদিকে, সিরিয়ায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহের সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর থেকে শনিবার পর্যন্ত দুই হাজার বারেরও বেশি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এএফএডি এ তথ্য জানিয়েছে।